নিজ দলের এমপিদের বিরোধীতায় অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে এ নিয়ে ভোটাভুটি।বরিসের নিজ দল এবং কনজারভেটিভ পার্টির ৫৪ জন এমপির অনুরোধে অনাস্থা ভোটের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অনাস্থা ভোটে হারলে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারাবেন তিনি।
যদিও তাকে পরাজিত করতে প্রয়োজন ১৮০ ভোট। আর বরিস জিতে গেলে আগামী এক বছর এ ধরনের চ্যালেঞ্জ থেকে মুক্ত থাকবেন।বিবিসি সূত্র বলছে, নিয়ম অনুযায়ী, দলের ন্যূনতম ১৫ শতাংশ সাংসদ আস্থা ভোট চেয়ে কনজারভেটিভ পার্লামেন্টারি গ্রুপ ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন জানালে চেয়ারম্যান সেই ভোট ডাকেন।
১৯২২ কমিটির এখনকার চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্রাডি।সোমবার তিনি জানান, আস্থা ভোট চেয়ে আবেদনকারী দলীয় সাংসদের সংখ্যা ১৫ শতাংশ পেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তিনি রোববারই প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছেন।যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে সোমবারই ভোট নেয়া হচ্ছে বলেও ব্রাডি জানান।
এক বিবৃতিতে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট জানায়, জনসন এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।
গোপন ব্যালটে হতে যাওয়া এ ভোটে দলীয় এমপিদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন পেলেই এ যাত্রায় টিকে যাবেন জনসন। সেক্ষেত্রে আগামী এক বছর তার বিরুদ্ধে দলের এমপিরা আর নতুন কোনো অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারবে না।আর হেরে গেলে, দলীয় প্রধানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীত্বও ছাড়তে হবে তাকে। কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা নির্বাচনের লড়াইয়েও তিনি দাঁড়াতে পারবেন না।
লকডাউনের আইন অমান্য করাসহ নানা কারণে বরিসের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে দেশটিতে।
এর আগে ২০১৮ সালে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ৬৩ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন তিনি। যদিও এক পর্যায়ে পদত্যাগ করেন তিনি।