চট্টগ্রাম মহানগর রাজনীতিতে হালিশহর থানা রাজনৈতিক কর্মকান্ড সবসময় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এবার হালিশহর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মকান্ড নিয়ে সচেতন মহলে কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
গত দুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হালিশহর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনার ঝড় চলছে।
এনিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র ক্ষোভের।
তাদের জিঙ্গাসা কারা চালাচ্ছে হালিশহর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ?
উঠে আসে আমিনুল হক চৌধুরী নামে বিতর্কিত একজন ব্যক্তির নাম।

চট্টগ্রাম স্বেচ্ছাসেবক লীগ মিটিংয়ে দেবাশীষ নাথ দেবুর সাথে বিএনপি`র আমিনুল হক চৌধুরী।
জানা যায়, আমিনুল হক চৌধুরী এর প্রয়াত পিতা ফজল হক চৌধুরী হালিশহর ২৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
তার বড় ভাই দিদারুল হক চৌধুরী বর্তমানে হালিশহর ২৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি`র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক।
আমিনুল হক নিজেও বিএনপি রাজনীতির সাথে সক্রিয়।
জানা যায়, তাদের পুরো পরিবার বিএনপি রাজনীতির সাথে সরাসরি সংযুক্ত এবং তাদের অর্থায়নে চলছে ২৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি`র সকল কার্যক্রম।
ফেসবুক ও বিভন্ন গনমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জুলাই হালিশহর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আমিনুল হক চৌধুরী সরাসরি সম্মেলন মঞ্চে উঠে সিনিয়র তৃণমূল নেতাদের পাশকাটিয়ে নমিনেশন লিস্ট চেক করেন।
এতে ক্ষুদ্ধ হন সেখানের মঞ্চে ও মঞ্চের সামনে থাকা তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
তাদের কথা কোন ধরনের পদ পদবী ছাড়া এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোন গুরুত্বপূর্ণ এমনকী সাধারণ কেউ না হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে এবং কার ক্ষমতার জোড়ে এই ব্যক্তি দলটির কার্যক্রমে অহেতুক হস্তক্ষেপ করার সাহস রাখেন?
গনমাধ্যম ফেসবুকের জামিল আহম্মেদ আইডি সূত্রে জানা যায়, হালিশহর থানা ২৫, ২৬ ও ৪৪ নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সকল কার্যক্রম মূলতঃ এই বিএনপি কেন্দ্রিক পরিবারের হাতে।
তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের প্রশ্ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন মঞ্চে কেন বিএনপি?
এবিষয়ে নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক নেতা কর্মীরা জানান, আমিনুল হক চৌধুরী হলেন বর্তমান চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীস নাথ দেবুর খাস লোক।
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে ২০১৬ সালে দেবুর সহযোগীতায় আমিনুল ইসলাম চৌধুরী গরু জবাই করে মেজবান দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ রাজনীতিতে যোগদানের অভিনয় করেন কিন্তু বাস্তবে আমিনুল হক তার পারিবারিক বিএনপি জামাত রাজনীতির সাথেই সক্রিয়।
অদ্যবধি এই ব্যক্তি স্বেচ্ছাসেবক লীগ রাজনীতিতে যোগদানের নামে নিজের পারিবারিক রাজনীতির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
নাম অনিচ্ছুক এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক অনেকের মাধ্যমে জানা যায়, দেবাশীষ নাথ দেবু চট্টগ্রামের বহু চাঁদাবাজি ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট।
দেবাশীষ দেবুর বিরুদ্ধে মামলার পিছনে আমিনুল হক চৌধুরী ও তার পরিবার লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেন শুধু দেবুকে মামলা থেকে রক্ষা করার জন্য।
উক্ত অর্থ ব্যায়ের মাধ্যমে আমিনুল হক দেবাশীষ দেবুর মাধ্যমে বিএনপি জামাত রাজনীতির সাথে সক্রিয় থেকেও বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সংগঠন থেকে রাজনৈতিক ফায়দা নিয়ে যাচ্ছেন।
এর কারনে সংগঠনের আভ্যন্তরীন প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দলটির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
দেবাশীষ নাথ দেবুর এধরনের স্বেচ্ছাচারীতার কারণে দলটির তৃনমূল নেতা-কর্মীদের সাথে রাজনৈতিক কার্যক্রমে দুরুত্ব সৃষ্টি হচ্ছে, যার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সংগঠনটির দলীয় কার্যক্রম।
বিশেষ করে সভাপতি দেবাশীস নাথ দেবুর আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে উক্ত আমিনুল হক বর্তমান স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কোন প্রকার গ্রাহ্যই করেন না।
এ পর্যায়ে, অনেক নেতা কর্মীদের প্রশ্ন, তাহলে আমরা কেন এতোদিন সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলাম? দীর্ঘদিন সংগঠনটির রাজনীতি করেও আজকে মঞ্চে বসে সংগঠনের কার্যক্রমের কলকাঠি নাড়ছে বিএনপি`র লোকেরা।
তাহলে বর্তমান স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতির কাছে আমাদের নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশা কতটুকু?
দীর্ঘদিন সেচ্ছাসেবক লীগ রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট নেতা কর্মীদের সাথে দেবাশীস দেবুর সাংগঠনিক কার্যক্রমে দুরুত্ব বাড়ছে। তার আশেপাশে দেখা যাচ্ছে নতুন নতুন মুখ যাদের কারোরই স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতির সাথে দেখা যায়নি।
এ অবস্থায় সংগঠনটির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বর্তমান অরাজকতা নিরসনে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তথ্য সূত্রঃ গনমাধ্যম ফেসবুক।