গেল ১০ ডিসেম্বর’২০২১, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া তৃষা স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক আকর্ষনীয় চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা। বিক্রমপুরের পঞ্চসার ইউনিয়নের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে কৃতি চিত্রশিল্পী তৃষা’র স্মরণে এই চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়।
এরপর ১৯ ডিসেম্বর, রবিবার একই বিদ্যালয় আঙ্গিনায় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী প্রতিযোগিদের আঁকা ছবি প্রদর্শন, বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণী ও এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ।
পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারী হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হাই তালুকদার এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তৃষার বাবা বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী আবুল খায়ের সহ এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন মিরকাদিম পৌরসভার মানবিক মানুষ এবং ইচ্ছেডানা ফেসবুক গ্রুপের এডমিন তাহের মাহমুদ!

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ইচ্ছেডানা গ্রুপের এডমিন তাহের মাহমুদ।
এবারের আয়োজিত চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতায় মুন্সীগঞ্জের ৭৫ টি স্কুলের পাঁচ শতাধিক চিত্রশিল্পী অংশগ্রহণ করে! মোট ৪টি ক্যাটাগরিতে প্লে থেকে ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, তৃষা একজন উদীয়মান চিত্রশিল্পী ছিলো। সে বেঁচে থাকলে চিত্রশিল্পে ভিন্ন ধারার প্রবর্তন হতো এটা নি:সন্দেহে বলা যায়। তার ছবি আঁকার মাধ্যমগুলো পুরোপুরি ভিন্নধারার ছিলো, তৃষার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ভিন্নধারার এক চিত্রশিল্পী কে হারিয়েছে বলে মতামত প্রকাশ করেন বক্তারা। প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে এই ধরনের আয়োজন চালিয়ে যেতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান উপস্থিত ব্যক্তিবর্গরা।
বিশেষ অতিথি তৃষার বাবা বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী আবুল খায়ের বলেন, তৃষা একটি স্বপ্নের নাম। তার মেয়ের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এ বছর ২য় বারের মতো প্রতিযোগিতার আয়োজন করলো তৃষা স্মৃতি পরিষদ। গত ২০১৯ সালে ১ম প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় কিন্তু ২০২০ সালে করোনার সংক্রমনের কারনে সেবছর প্রতিযোগিতার আয়োজন স্থগিত রাখা হয়। এখন থেকে প্রতি বছরই এই চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা থাকবে বলে জানান আবুল খায়ের।
উল্লেখ্য যে, মুন্সীগঞ্জের সরকারী হরগঙ্গা কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় মেধাবী তৃষার অকাল মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর প্রতিষ্ঠা করা হয় “তৃষা স্মৃতি পরিষদ”।