ঢাকাশনিবার , ৪ জুন ২০২২
  1. #টপ৯
  2. #লিড
  3. অনান্য
  4. অর্থনীতি
  5. আইন-আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আন্দোলন
  8. ইচ্ছেডানা
  9. উদ্যোক্তা
  10. ক‌রোনা মহামা‌রি
  11. কৃষি
  12. ক্যাম্পাস
  13. খেলাধুলা
  14. গণমাধ্যম
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ফাইল নম্বর ৩-৯০০০০৭২৭-০০০০। এটি একটি ঐতিহাসিক ফাইল।

দেশইনফো২৪.কম
জুন ৪, ২০২২ ৩:০৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

শওগাত আলী সাগর, কানাডা থেকে: ফাইল নম্বর ৩-৯০০০০৭২৭-০০০০। এটি একটি ঐতিহাসিক ফাইল। ডাউন টাউন টরন্টোর ৩৬১ ইউনিভার্সিটি এভিনিউর ২৪১ নম্বর কক্ষে সযত্নে রাখা আছে এটি। বাংলাদেশের জন্য তো বটেই, কানাডার জন্যও এই ফাইলটির বিষয়বস্তু অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

৩৬১ ইউনিভার্সিটি এভিনিউ আসলে অন্টারিও সুপিরিয়র কোর্ট অব জাস্টিস ভবন। বাংলাদেশের পদ্মাসেতু নির্মাণে তথাকথিত দুর্নীতির অভিযোগে কানাডায় দায়ের করা মামলার বিচার কার্য চলে এই ভবনেই। ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল। মাঝখানে একবার  রাজধানী অটোয়া শহরে অবস্থিত সুপ্রিম কোর্ট অব কানাডায় কিছুদিন কাটিয়ে আবারো টরন্টোর ইউনিভার্সিটি এভিনিউতেই ফিরে আসে মামলাটি। এই ভবনেই (মানে এই আদালতে) মামলাটির নিষ্পত্তি ঘটে। একজন রিপোর্টার হিসেবে মামলার প্রায় প্রতিটি শুনানীতে হাজির হতে হতে, নানা ঘটনাপ্রবাহ প্রত্যক্ষ করতে করতে মামলাটির সাথে এক ধরনের ইমোশনাল সম্পর্কও যেনো গড়ে উঠে।

পদ্মাসেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়েছে- এমন একটি অভিযোগের  বিচার হচ্ছে বিদেশি একটি আদালতে। এর সঙ্গে জন্মভূমি প্রিয় বাংলাদেশের সম্মান ও ভাবমূর্তির প্রশ্ন জড়িত। ফলে মামলাটির গতিবিধির প্রতি তীক্ষè মনোযোগ ছিলো অন্তরের টানেই। সেই টানেই প্রতিটি শুনানীর দিনেই ছুটে যেতে হয়েছে ইউনিভার্সিটি এভিনিউর এই ভবনটিতে। সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশের জন্যও মামলাটি হয়ে উঠেছিলো গুরুত্বপূর্ণ।

পদ্মাসেতু নিয়ে তথাকথিত দুর্নীতির অভিযোগ তো বাংলাদেশের বিষয়। তা হলে এটি কানাডার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন? কানাডার জন্য গুরুত্বপূর্ণ- কারণ কানাডার একটি আইন এই মামলায় প্রথম ব্যবহৃত হয়। বলা চলে আইনটি প্রায়োগিক প্রথম পরীক্ষা হয় এই মামলায়। ‘করাপশন অফ ফরেন অফিসিয়াল অ্যাক্ট’ নামে কানাডার এই আইনটি প্রণীত হয় ১৯৯৮ সালে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের উৎকোচ বা ঘুষ দিয়ে কানাডীয়ান কোম্পানিগুলো কাজ আদায় করে- এই ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কানাডা সরকার এই আইনটি প্রণয়ন করে। এই আইনে কানাডীয়ানদের পাশাপাশি বিদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের বিচারের আ্ওতায় আনার ক্ষমতা দেয়া হয় কানাডার আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে। কিন্তু আইনটি প্রয়োগের কোনো সুযোগ আসেনি। পদ্মাসেতু নিয়ে কথিত দুর্নীতির মামলাটিকে  এই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। এটিই ছিলো ‘করাপশন অফ ফরেন অফিসিয়াল অ্যাক্ট’ এ বিচারে আওতায় আসা প্রথম মামলা।

মামলাটির অবসান ঘটে ৩৬১ ইউনিভার্সিটি এভিনিউতেই। অন্টারিওর সুপিরিয়র কোর্ট অব জাস্টিসের বিচারক আয়ান নর্ডেইমার ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  মামলাটিকে উড়িয়ে দিয়ে ঐতিহাসিক রায় দেন। তার সেই সিদ্ধান্তের কপিটি রাখা আছে ৩-৯০০০০৭২৭-০০০০ ফাইলে। বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে দেয়া একটি কলংকের মোচন আর কানাডীয়ান একটি আইনের কার্যকারিতার প্রথম পরীক্ষার দলিল এই ৩-৯০০০০৭২৭-০০০০ নম্বর ফাইল। সমস্ত চক্রান্ত, বিদেশি ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা আর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব, আর সাহসিকতা সেই পদ্মাসেতুকে  এখন বাস্তবতায় পরিণত করেছে। আর একটি জাতীর স্পর্ধা আর দুঃসাহসের প্রতীক পদ্মাসেতুর গায়ে মেখে দেয়া মিথ্যা অপবাদকে ছুঁড়ে ফেলা দেয়া ঐতিহাসিক রায়টিকে আগলে রেখেছে ফাইল নম্বর ৩-৯০০০০৭২৭-০০০০।

লেখক: কানাডা থেকে প্রকাশিত নতুন দেশ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক 

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।