মা ও ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে দিনাজপুরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এএসপিসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার তাদের আটক করা হয়। আটকেরা হলেন- রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক।
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, জনৈক পলাশ নামের এক ব্যক্তি চিরিরবন্দর থানার জনৈক লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে রংপুর সিআইডি বরাবর ৫০ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক সোমবার রাতে লুৎফরের বাড়ি যান। সেখানে লুৎফরকে না পেয়ে তার স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীরকে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যান তারা। দিনাজপুর, সৈয়দপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মুক্তিপণের জন্য লুৎফরের পরিবারের লোকজনকে ফোন করে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন তারা। এ ঘটনা পরিবারের লোকজন পুলিশকে জানায়।
মঙ্গলবার বিকেলে ভুক্তভোগীর পরিবার সাড়ে ৮ লাখ টাকা নিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তারা প্রথমে রানীরবন্দর আসতে বলে। রানীরবন্দর আসলে তাদের দশমাইল আসতে বলে। আবার দশ মাইল আসলে বাশেরহাট আসতে বলে।
চিরিরবন্দর থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার জানান, আগে থেকে ওত পেতে থাকা দিনাজপুর জেলা পুলিশ ও দিনাজপুর সিআইডি মিলে বাশেরহাট থেকে সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হককে আটক করে।
তাদের প্রথমে চিরিরবন্দর পরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। তারা এখনও দিনাজপুর পুলিশের হেফাজতে আছে বলে জানা গেছে।