রোডমার্চের মধ্যদিয়ে সরকারের পতন ঘটিয়েই জনতার আন্দোলন শেষ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মানুষের ভোটের অধিকার ও দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির প্রতিবাদে তারুণের মিছিলে রাজপথে নেমেছি।
আর সরকারকে এক তরফার নির্বাচন করতে দেবে না জনগণ।
তারুণ্যের রোডমার্চ করে রংপুর থেকে দিনাজপুরে যাওয়ার পথে সৈয়দপুরে আয়োজিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল শনিবার সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বেলা ১২টা থেকে দুইটা পর্যন্ত এই পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছা সেবক দল ও ছাত্রদল সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা কমিটি যৌথভাবে এর আয়োজন করে।
রংপুর থেকে রোড মার্চের বহর বেলা দেড়টায় সৈয়দপুরে এসে পৌঁছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া প্রয়োজন।
নিজেরা বারবার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করালেও খালেদা জিয়াকে যেতে দিচ্ছে না এই সরকার।
তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে, যদি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনে যেতে পারি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে নির্বাচন পরবর্তী সময় আন্দোলনকারী দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়।
সরকার বলছে, তাদের অধীনে আগে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, এবারও সুষ্ঠু হবে।
কিন্তু আমরা দেখেছি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের বিচারব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে।
আদালতে গেলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জামিন দেওয়া হয় না।
এই আন্দোলনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যদি নির্বাচন করতে পারি, তা হলে আমরা একটি জাতীয় সরকার গঠন করব।
আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই আমাদের একদফা দাবি যদি মেনে না নেওয়া হয়, তা হলে লাখ লাখ তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাব।
বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। গণজোয়ারে টালমাটাল হয়ে ভাসমান অবস্থায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার আওয়ামী লীগ।
গণতন্ত্র হত্যাকারী বাকশালীদের কদর্য চেহারা আজ সারা বিশ্বের কাছে স্পষ্ট হয়ে পড়েছে।
যে কারণে দেশ-বিদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে লুটেরারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, সারাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে।
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে একাত্ম হয়েছে দেশের সব গণতন্ত্রমনা দল।
বিদেশি দাতা ও শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমুহ নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর তথা সহিংসতা এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতার পালাবদলের আহ্বান জানাচ্ছে।
তিনি বলেন, এরপরও সোজা কথায় হাসিনার হুশ না হলে রাজপথেই ফয়সালা হবে।
সময় ফুরিয়ে গেছে। পালাবার পথও পাবেনা। এখন শুধু ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
জয় আমাদেরই হবে। এজন্য তিনি দলমত নির্বিশেষে সকলকে সজাগ ও সক্রিয় থাকার আহবান জানান।