সীতাকুণ্ডের আগুনের ঘটনায় দগ্ধ অবস্থায় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১৬ জনের কেউ এখনো শঙ্কামুক্ত নন। চিকিৎসকরা বলছেন, সঙ্কটাপন্ন তিন জন আইসিইউতে আছেন। একজন করোনা পজিটিভ হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সীতাকুণ্ডে দগ্ধ ১৯ জনকে চিকিৎসা দিতে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে আনা হয়। সোমবার পর্যন্ত তাদের চারজন ছিলেন আইসিইউতে। মঙ্গলবার (৭ জুন) বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানান, অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় অগ্নিদগ্ধ ফরমানুল ইসলামকে আইসিইউ থেকে ওয়ার্ডে নেয়া হয়েছে। তিনজন এখনো আইসিইউতে আছেন। যাদের দু’জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী রবিন ও গাউসুল আযম। সবার অবস্থাই আশংকাজনক।বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সীতাকুণ্ডের ঘটনার পর থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত ঢাকায় ১৯ জনকে আনা হয়েছে।
তাদের মধ্যে দুজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। খালিদুর রহমান নামে আরেকজন করোনা পজিটিভ হওয়ায় ঢামেকের কোভিড ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।এখন বার্ন ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন ১৬ জন। আইসিইউর বাইরে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের অবস্থা স্থিতিশীল হলেও কাউকেই শংকামুক্ত বলছেন না এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।তিনি জানান, বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রোগীদের প্রায় সবার চোখে সমস্যা আছে। তাদের চোখের বিষয়টি ঢামেকের চিকিৎসকরা দেখছেন এবং যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, সকালে বার্ন ইন্সটিটিউটে আসেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। তিনি বলেন, মালিকপক্ষের গাফিলতির কারণেই এমন নারকীয় পরিস্থিতি হয়েছে। চট্টগ্রামে হাসপাতালে থাকা কেউ ঢাকায় এসে চিকিৎসা নিতে চাইলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক।