বিশ্বের স্পট মার্কেটে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম আরও বেড়েছে। সবশেষ এশীয় অঞ্চলের জন্য প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) এলএনজির মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬০ ডলারে। ফলে আপাতত তা কেনার পরিকল্পনা নেই বাংলাদেশের।
ব্যবসাভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শীতের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে অনেক দেশ গ্যাস মজুত করে রাখছে। ফলে স্পট মার্কেটে দর বেড়ে গেছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরপর জ্বালানি পণ্যটির দাম বাড়তে থাকে। সম্প্রতি প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির মূল্য ৬০ ডলারে উঠে এসেছে। গত মার্চের পর তথা ৫ মাসে যা সর্বোচ্চ।
ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে লোডশেডিং শুরু করেছে সরকার। পাশাপাশি ভর্তুকি কমাতে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে উচ্চমূল্যে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা বন্ধ রাখা হয়েছে। গত দুই মাসে এজন্য কোনো এলসি খোলা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বলেন, আপাতত স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনার পরিকল্পনা নেই। প্রতি এমএমবিটিইউ ১৫ ডলারে দীর্ঘমেয়াদী এক চুক্তি করা হয়েছিল। সেটি অব্যাহত আছে।