কুড়িগ্রামের জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সদর ইউনিয়নে একজনের স্ত্রীর সাথে প্রতিবেশী ছেলের পরকীয়া করে শারীরিক সম্পর্কের ঘটনা ঘটেছে এবং স্বামী এসে তা স্বচক্ষে দেখে ফেলায় অবশেষে সেই স্বামীর তালাকের পর স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিকের সাথে রবিবার (২৮ আগষ্ট) দেয়া হলো বিয়ে।
রবিবার (২৮ আগষ্ট) দুপুর দুইটার দিকে ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আগের স্বামী আলমগীরের সাথে তালাক ও পরকীয়া প্রেমিক মাছিদুলের সাথে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। এ সময় আগের স্বামীর কাছে স্ত্রীর পাওনা ৬০ হাজার টাকা নিয়ে ও নতুন পরকীয়া প্রেমিকের সাথে ২ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে নগদ পনেরশো টাকা (স্থানীয় মেম্বার কর্তৃক প্রদেয়) প্রদানের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।
উল্লেখ্য, পরকীয়া প্রেমিকের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলার ঘটনাটি ঘটেছে (২৪ আগষ্ট) বুধবার দুপুরে স্বামীর নিজ বাড়ি সদর ইউনিয়নের ভোটহাট গ্রামে ।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সদর ইউনিয়নের ভোটহাট গ্রামের তমছের আলীর ছেলে আলমগীরের(২৬) সাথে নাগেশ্বরী পূর্ব জামতলা গ্রামের ভূট্টুর মেয়ে নিশির(২২)।
মোঃ আলমগীর হোসেন বুধবার (২৪ আগষ্ট) দুপুরে কাজ থেকে বাড়িতে এসে তার স্ত্রীকে একই গ্রামের নুরুল হক এর ছেলে মোঃ মাছেদুল ইসলামের সাথে আপত্তিকর(অর্ধ উলঙ্গ) অবস্থায় দেখে।
বিষয়টি নিয়ে মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, আমি বিয়ে করেছি প্রায় সাড়ে তিন বছর পূর্বে।
ঘটনার দিন আমি ঘাস কাটতে গিয়েছিলাম। আমার বাবা-মা সাগাই(আত্মীয়) বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। আমি বাড়ি এসে দেখি আমার স্ত্রী ও মাছেদুল ইসলাম ঘরের ভেতরে অর্ধ উলঙ্গ ও অন্তরঙ্গ অবস্থায়। তাদের দুজনের গায়ে শরীরের কোমরের নিচের কোন কাপড় ছিল না, শুধু গায়ে জামা পরা ছিল।
এরপর স্থানীয় পর্যায়ে বিষয়টি সমাধান করতে না পেরে রবিবার(২৮ আগষ্ট) সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সমাধানের জন্য এক সালিশের আয়োজন করা হয়।
পরে সেখানে স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দিলে একই বৈঠকে পরকীয়া প্রেমিক মাছিদুলের সাথে দুই লক্ষ টাকা দেন মোহরানার মধ্যে নগদ পনেরশো আদায় পূর্বক বিয়ের কার্য সমাধান করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রায় এক বছর পূর্বে মাছিদুল আরেকটা মেয়েকে ধর্ষণ করেছিলো সেসময় এলাকার দেওয়ানি (নেতা, পাতি নেতা) দের ক্ষতিগ্রস্ত মেয়েকে ৭০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে দিয়ে তার সমাধান করে। তার মধ্য থেকে নেতারা আবার ৫ হাজার টাকা খেয়ে ফেলে। টাকা খাইয়ে সেসময় মেয়েটার বাড়িতে চাপ দিয়ে বিষয়টির সমাধান করে দিয়েছে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সদ্য তালাক দেয়া প্রাক্তন স্বামী আলমগীর বলেন, স্ত্রীকে ঐদিন আপত্তিকার অবস্থায় দেখে ফেলার পর এবং এ ধরনের ঘটনা ঘটার পর আমি আর বউকে রাখতে চাইনি, পরে আজকে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তার দাবিকৃত ৬০ হাজার টাকা দিয়ে তাকে তালাক দিলাম এবং ওই পরকীয়া প্রেমিকের সাথে আমার সাবেক স্ত্রীর বিয়ে হল।