নিউজিল্যান্ডের এক পাইলটকে ইন্দোনেশিয়ায় জিম্মি করার পর তার ছবি প্রকাশ করেছে জিম্মিকারী বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ওই পাইলটের ছবি প্রকাশ করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
বিদ্রোহীদের মুখপাত্র সেবি সাম্বম মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিউজ এজেন্সিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ভিডিও ও ছবি পাঠিয়েছেন।
ছবি ও ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, ওই পাইলট রাইফেল, বর্শা, ধনুক, তিরসহ একদল মানুষের মধ্যে বনে দাঁড়িয়ে আছেন।
ভিডিওতে বিদ্রোহী নেতা এগিয়ানাস কোগোয় বলছেন, ‘ইন্দোনেশিয়াকে পাপুয়াকে স্বাধীন স্বীকৃতি দিতে হবে। আমরা খাবার বা পানির জন্য জিম্মি করিনি। আমরা তাকে (পাইলট) পাপুয়ার স্বাধীনতার জন্য জিম্মি করেছি।’ এগিয়ানাস কোগোয়া আরও বলেন, ‘যতক্ষণ ইন্দোনেশিয়া তাদের সমরাস্ত্র আমাদের ওপর ব্যবহার করবে না, ততক্ষণ সে আমাদের কাছে নিরাপদ থাকবে।’
এদিকে জাকার্তা সরকার বলেছে ,তারা মেহরটেনস নামে ওই পাইলটকে মুক্তি দিতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে রাজি করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।
ইন্দোনেশিয়ার রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও আইনবিষয়ক সমন্বয়কারী মন্ত্রী মোহাম্মদ মাহফুদ মঙ্গলবার গভীর রাতে এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যেকোনো কারণে বেসামরিকদের জিম্মি করা অগ্রহণযোগ্য।
তিনি আরও বলেন, জিম্মি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আলোচনা হলো সর্বোত্তম পদ্ধতি। কিন্তু প্রয়োজনে সরকার অন্যান্য প্রচেষ্টাও ব্যবহার করতে পারে।
চলতি মাসের আট তারিখ ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া অঞ্চলের ‘ওয়েস্ট পাপুয়া ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ’ নামে বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধারা ওই পাইলটকে জিম্মি করে।
৩৭ বছর বয়সী পাইলট ফিলিপ মার্থেনস পাঁচজন যাত্রী নিয়ে এনদুগা প্রদেশের প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলে জরুরি অবতরণ করেন। এর পরই তাকে জিম্মি করে বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধারা।
জিম্মি থাকা ওই পাইলটকে মুক্তি দিতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে রাজি করাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে জাকার্তা সরকার।
জিম্মি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আলোচনা সর্বোত্তম পদ্ধতি তবে প্রয়োজনে সরকার অন্যান্য প্রচেষ্টাও ব্যবহার করতে পারে বলে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও আইনবিষয়ক সমন্বয়কারী মন্ত্রী মোহাম্মদ মাহফুদ।