সম্প্রতি দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে না জানিয়ে হঠাৎ কাউন্সিলের ডাক দেন চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে থাকা রওশন। তারপর ‘কারও কথায় বা চাপে’ জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ দলের কাউন্সিল ডাকতে ‘বাধ্য হয়েছেন’ বলে মন্তব্য করেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। সেই থেকে এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে ব্যপক আলোচনা-সমালোচনা।
এরই মধ্যে জি এম কাদেরের দাবি উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা বির্বৃতি দিয়েছেন রওশন। বির্বৃতিতে তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে আমি পুরোপুরি সুস্থ; আমার উপর কোনো ধরনের চাপ নেই। যারা আমাকে বারবার অসুস্থ বলে প্রচার করছেন, তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার।’
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় পার্টির প্যাডে বিবৃতিটি পাঠান দশম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন রাজু।
বিবৃতিতে রওশন এরশাদ বলেন, তৃতীয় পক্ষের ভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে যে তথ্য প্রচার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ও বানোয়াট। এর কোনো ভিত্তি নেই। যে মর্হূতে আমি সুস্থ হয়ে ওঠেছি এবং সংসদ কার্যক্রমে অংশ নিতে শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুত, সে মুর্হূতে বিভ্রান্তকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এতে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা, সেটাই এখন প্রশ্ন।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, গঠনতন্ত্র ২০ এর উপধারা ১ এ উল্লেখিত বিধিতে দেয়া প্রধান পৃষ্ঠপোষকের ক্ষমতা বলে আমি বিশেষ প্রয়োজন উল্লেখ করেই দশম জাতীয় সম্মেলন ডেকেছি। বিগত তিন বছর সারাদেশে জাতীয় পার্টির যে বেহাল দশা এবং অসংখ্যক দক্ষ যোগ্য নেতাকর্মীর আর্তনাদ, আমাকে ব্যথিত করেছে। যা কিনা পল্লীবন্ধু খেতাব ও তাঁর আদর্শকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতেই আল্লাহর অশেষ রহমত এবং লাখো লাখো নেতাকর্মীর দোয়ায় সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে পার্টিকে রক্ষা করতেই দশম জাতীয় সম্মেলনের ডাক দিয়েছি।
‘জাতীয় পার্টির সবাই আমার সন্তান, আত্মার পরম আত্মীয়’- বলেন, রওশন এরশাদ।
স্নেহের ছোট ভাই-বোন ও বন্ধুজন। তাই সব বিভেদ ও মতপার্থক্য এবং বিভ্রান্তি ভুলে গিয়ে পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন সফল করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আবারো উদাত্ত আহবান জানিয়ে বেগম রওশন এরশাদ বলেন, আল্লাহর রহমতে শিগগিরই দেশে এসে, সময়ের সাথী হবো, বিপদে-আপদে থাকবো তোমাদেরই পাশে, ইনশাল্লাহ।