ঢাকামঙ্গলবার , ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  1. #টপ৯
  2. #লিড
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আন্দোলন
  7. ইচ্ছেডানা
  8. উদ্যোক্তা
  9. ক‌রোনা মহামা‌রি
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. চাকুরীর খবর
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রেমিটেন্সে ডলার রেট ১০৮ আর রপ্তানিতে ৯৯ টাকা করলে যেই সমস্যা

Wasi Mahin
সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ ১১:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রেমিটেন্সে ডলার রেট ১০৮ আর রপ্তানিতে ৯৯ টাকা করলে যেই সমস্যা হবে সেটা একটু বুঝার দরকার রয়েছে।
সাময়িক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে হয়ত এরকম রেট কিছুটা স্বস্থি দিবে তবে সেটা কেবল সাময়িক মাত্র।
পণ্য রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানিকারন যদি ৯৯ ডলার রেটে এক্সপোর্ট প্রসিড এনক্যাশ করেন আর রেমিটেন্সে যদি ১০৮ ডলার রেটে দেয়া হয় তাহলে ভুয়া রেমিটেন্স বেড়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। তাত্বিক আলোচনায় না গিয়ে সহজভাবে উদাহরন দিচ্ছি।
আন্ডার ইনভয়েসিং, ওভার ইনভয়েসিং, হুন্ডি এর সকল ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
রেমিটেন্সে ডলার রেট ১০৮ আর রপ্তানিতে ৯৯ টাকা করলে
রপ্তানির রেট এবং রেমিটেন্সের রেটের পার্থক্য বেশি থাকা স্বাভাবিক পরিস্থিতি নয়। রপ্তানি এবং রেমিটেন্স উভয়ের মাধ্যমে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা ঢুকে। আমদানির মাধ্যমে বের হয়ে যায়। ধরুন রপ্তানিকারক আগে ১০০ ডলার রপ্তানি করত। এখন কেউ যদি ধুর্ত হয় তবে খুব স্বাভাবিক ভাবেই সে ১০০ ডলার রপ্তানি করে ঘোষনা দিবে যে সে আসলে $৫০ ডলার রপ্তানি করেছে। বাকি যেই ৫০ ডলার, সেটির ক্ষেত্রে রপ্তানিকারন রেমিটেন্সের মাধ্যমে বিদেশ থেকে দেশে আনবে। যদি সে ১০০ ডলার পণ্যের রপ্তানি প্রসিড দেশে আনে তবে সে ৯৯ টাকা রেটে মোট পাবে ৯৯০০ টাকা। কিন্তু যদি উপরুক্ত সিস্টেমে দেশে আনে তবে সে ৫০ ডলার এর রপ্তানির বিপরীতে পাবে ৪৯৫০ টাকা এবং বাকি ৫০ ডলার রেমিটেন্স দেখিয়ে আনার মাধ্যমে পাবে ৫৪০০ টাকা। এতে সে মোট পাবে ১০,৩৫০ যা স্বাভাবিক রপ্তানি পক্রিয়ার থেকে ৪০০ টাকা বেশি। অর্থাৎ মাত্র ১০০ ডলারের হিসাবেই ৪০০ টাকারের লাভের সুযোগ যদি মিথ্যা ঘোষনা দেয়।
এখন অনেকে ভাবতে পারেন, রপ্তানিকারন বেশি টাকা পেলে আপনার সমস্যা কি? সমস্যা অনেক আছে। এতে প্রকৃত রপ্তানিকারকদের প্রতি অবিচার হয়। আর এক্ষেত্রে রেমিটেন্সের সাথে আরো ২.৫% প্রনোদনা হিসাব করলে আরো ২৬০ টাকা আসে। প্রকৃত লাভ দাঁড়ায় ৬৬০ টাকা। ফলে রেমিটেন্সের হিসাবে রপ্তানির অংশ দেখাবে। প্রণোদনা যাদের উদ্দেশ্যে দেয়া সেই প্রকৃত প্রবাসীদের বঞ্চনা করা হবে।
হুন্ডি সংক্রান্ত সমস্যার জোড়াতালি সমাধান হয়না। এটা একটা পলিসির বিষয়। ঠিক যেসব কারনে মানুষ হুন্ডি করতে বাধ্য হয় সেগুলা এড্রেস করতে হবে।
হুন্ডি এমন এক জিনিস ব্যাংকিং রেট যদি ১৫০ টাকাও করা হয় যারা টাকা পাচার করবে তারা ১৬০ অফার করবেই। রেট বাড়ালে যদি সমাধান হত তাহলে এই এপ্রোচ নেয়া যেত। কিন্তু এর সমাধান এভাবে হয়না। এর জন্য বিদেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে হাজারটা বিধিনিষেধ আরোপের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। সঠিক ঘোষনায় প্রয়োজনে মানুষ টাকা পাঠাক, বিদেশে বিনিয়োগ করুক। এতে প্রতিটি টাকার হিসাব থাকবে। ট্রান্সপারেসি নিশ্চিত হবে।
এর থেকে দেশে টাকা আনবার জন্য আকর্ষনীয় বিনিয়োগ ক্ষেত্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। মূল কথা হল জোড়াতালি সমাধান না করে একটা বাস্তবমুখী পলিসি এবং এক্সিকিউশন দরকার।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।