বাংলাদেশের বিনোদন জগতের টক অব দ্য টাউন এখন শাকিব-বুবলি, মূলত প্রথম থেকেই তারা আলোচিত হয়েছিলেন এবং তাদের প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বত্র তবে মাঝখানে দুই বছর সবার চোখের আড়ালে ছিলেন বুবলি এবং সেই সময় তাকে নিয়ে নানান গুঞ্জন উঠেছিল এবং অনেকেই ধর্ণা করেছিলেন তিনি সেখানে বিয়ে করে সেটেল হয়ে গেছেন। তবে সবকিছু এবার খোলাসা হয়েছে।
বুবলীর বেবি বাম্পের ছবি প্রকাশের পর শাকিব-বুবলী ইস্যু টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। এরপর গণমাধ্যমকে বুবলী বলেন, যা হয়েছে তা শালীনভাবে হয়েছে। সবই হয়েছে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী। এরপর থেকে বুবলীর সন্তানের বাবা কে? এই প্রশ্ন উঠছে জনমনে। আর স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহের তীর যায় শাকিব খানের দিকে।
প্রায় দুই দিন পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুখ খুললেন শাকিব খান। নিজেকে বুবলীর সন্তানের বাবা দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের সন্তানকে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য আমরা একটি শুভ দিন দেখতে চাই। কিন্তু আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। সেই সুসংবাদটি ঘোষণা করতে আমাদের আর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি।
এদিকে সন্তানের পিতৃত্ব স্বীকারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শোনা যাচ্ছে শাকিব খান ও বুবলী দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছেদ এবং বিচ্ছেদ ঘটতে যাচ্ছে। সূত্র জানায়, বুবলী বিষয়গুলো প্রকাশ করায় বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে।
সন্তানের খবর বেরিয়ে এলে কেন বিচ্ছেদের গুঞ্জন? এর পেছনে কী আছে!
জানা গেছে, গালুই সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে অভিনেত্রী পূজা চেরির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন শাকিব খান। গোলুই-এর শুটিং শেষ করে তিনি পাড়ি জমান আমেরিকায়। সেখান থেকেই পূজার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন শাকিব। সে সময় পূজা বেশ কয়েকবার আমেরিকা যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ভিসা না পাওয়ায় তিনি যাননি।
গত ১৭ আগস্ট দেশে ফেরেন শাকিব। দেশে ফিরে পূজার সঙ্গে নিয়মিত দেখা করতে থাকেন। এবার পুজোর সঙ্গে আমেরিকা যাওয়ার পরিকল্পনাও করছেন তিনি। জানা গিয়েছে, মার্কিন ভিসাও পেয়েছেন পূজা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসেই আমেরিকা যাবেন শাকিব-পূজা।
বেশ কিছুদিন ধরেই পূজা চেরিকে কেন্দ্র করে শাকিব ও বুবলীর মধ্যে ঝামেলা চলছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, শাকিবের বাড়িতে পূজার সঙ্গে ঝগড়াও হয় বুবলী। ওই ঘটনার পর শাকিব-বুবলীর সম্পর্কের আরও অবনতি হয়।
উল্লেখ্য, বুবলিকে বিয়ে করার আগেও অপু বিশ্বাসকে বিয়ে করেন শাকিব। ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল অপু বিশ্বাস যখন ছেলে আব্রাম খান জয়কে নিয়ে জনসমক্ষে আসেন, প্রথমে শাকিব খান সন্তানের কথা অস্বীকার করতে চাইলেও পরে মেনে নেন। কিন্তু পরে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে বিচ্ছেদের আবেদন করেন শাকিব। এবারও সে একই পথে হাঁটছেন বলে মনে করছেন সাকিবের ঘনিষ্ঠরা।
