সুইজারল্যান্ডকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কাটলো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল। হ্যাটট্রিক করেছেন ২১ বছরের তরুণ গঞ্জালো রামোস। একটি করে গোল করেছেন পেপে, রাফায়েল গেরেইরো ও রাফায়েল লেয়াও। ১০ই ডিসেম্বর সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে পর্তুগিজদের প্রতিপক্ষ মরক্কো।
একবিংশ শতাব্দীতে পর্তুগাল মাত্র দ্বিতীয় দল, যারা বিশ্বকাপের কোনো নকআউট ম্যাচে ৬টি গোল করলো। ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিতে ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে হারিয়েছিল জার্মানি।
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে অধিনায়ক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জায়গা হয়নি শুরুর একাদশে। কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাকে বেঞ্চে রাখেন পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। তার জায়গা নেন গঞ্জালো রামোস। এর আগে দুটি ম্যাচে বদলি হিসেবে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। ঘানার বিপক্ষে দুই মিনিট এবং উরুগুয়ের বিপক্ষে খেলেছেন আট মিনিট। আর দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তাকে মাঠেই নামাননি সান্তোস।
এবার শুরুতে জায়গা পেয়ে কোচের আস্থার প্রতিদান দিলেন।
চলতি বছরের নভেম্বরে জাতীয় দলে অভিষেক বেনফিকার তরুণ ফরোয়ার্ড রামোসের। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের মাত্র পঞ্চম ম্যাচ খেলতে নেমেছেন তিনি। বেনফিকার হয়ে চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন রামোস। সব প্রতিযোগিতায় ২১ ম্যাচে করেছেন ১৪ গোল। সেই ছন্দ ধরে রাখলেন জাতীয় দলেও।
১৭তম মিনিটে পর্তুগালকে এগিয়ে নেন ২১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড গঞ্জালো রামোস। ৩৩তম মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজের কর্নার কিক থেকে হেডে ব্যবধান বাড়ান পেপে। আজকের ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন ৩৯ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান রামোস। ৫১তম মিনিটে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা দিয়োগো দালতের ক্রস থেকে পা ছুঁইয়ে বল জালে পাঠান তিনি। ৫৫তম মিনিটে পর্তুগালের চতুর্থ গোলটি আসে ডিফেন্ডার রাফায়েল গেরেইরোর পা থেকে। এ গোলে অ্যাসিস্ট করেন রামোস। ৫৮তম মিনিটে সুইজারল্যান্ডের ব্যবধান কমান ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল আকানজি। ৬৭তম মিনিটে জোয়াও ফেলিক্সের সহায়তায় হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন রামোস।
যোগ করা সময়ে (৯০+২ মিনিট) পর্তুগালের হয়ে ষষ্ঠ গোলটি করেন এসি মিলান তারকা রাফায়েল লেয়াও।