সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদে কড়া নিড়াপত্তায় চলছে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে এ ভোটগ্রহণ চলবে টানা ২টা পর্যন্ত।
প্রতি উপজেলা সদরে স্থাপিত কেন্দ্রে ভোট নেয়া হচ্ছে ইভিএমে। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ মনিটরিং করার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৬ প্রার্থী। দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও সদস্য পদে ১২ ওয়ার্ডে ১২টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৩ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৪ ওয়ার্ডে ৪টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১১ জন।
জেলা নির্বাচন অফিস জানিয়েছে, এই নির্বাচনে সুনামগঞ্জ জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১,২২৯। এর মধ্যে জেলার চার পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর, ১১ উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং ৮৮ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচিত করবেন।
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাত সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের জন্য পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও র্যাবের একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন রয়েছে।
এ ছাড়া বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে মোতায়েনের পাশাপাশি নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। তাছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নজরদারি করবেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভোটকক্ষে ভোটাররা যাতে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে না পারেন, বিশেষ করে গোপন কক্ষে ভোট দেয়ার ছবি তুলতে না পারেন- তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান , ভোট ইভিএমএ হচ্ছে। নির্বাচনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করবেন। কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ ও র্যাব টহল দিচ্ছে। কেউ নির্বাচনী পরিবেশের বিন্দুমাত্র বিঘ্ন ঘটালে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের প্রথম অংশগ্রহণ করেন নূরুল হুদা মুকুট। সে নির্বাচনে মুকুট আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেও দলীয় মনোনয়ন পান বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন।
তবে দলীয় প্রার্থীকে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নেন নূরুল হুদা মুকুট। নূরুল হুদা মুকুট পান ৭৮৭ ভোট ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন ভোট পান ৪২০।