আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ মে) তাকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের ভেতর থেকে হেফাজতে নেয় রেঞ্জার্স সদস্যরা।
আদালত প্রাঙ্গন থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের সময় হুইলচেয়ার ছুড়ে ফেলা হয় এবং তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে ‘অমানবিকভাবে’ গাড়িতে তোলা হয় বলে অভিযোগ করেছে তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
পিটিআই’র সহ-সভাপতি ফাওয়াদ চৌধুরী টুইটারে বলেছেন, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট রেঞ্জার্সের দখলে। সেখানে আইনজীবীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। ইমরান খানের গাড়ি ঘেরাও করা হয়েছে।
পিটিআই’র অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, বিপুল সংখ্যক রেঞ্জার্স সদস্য ইমরান খানকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে দ্রুত গাড়িতে তুলছে। আরেকটি ভিডিওতে তার আইনজীবীকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা গেছে
জিও নিউজের খবর অনুসারে, একাধিক মামলায় জামিনের জন্য হাইকোর্টে গিয়েছিলেন পিটিআই চেয়ারম্যান। সেখান থেকে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। তার গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল এনএবি কর্মকর্তাদের কাছে।
আল-কাদির ট্রাস্ট মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির পাঁচ হাজার কোটি রুপি বৈধ করার জন্য কয়েকশ কোটি রুপি নিয়েছেন পিটিআই প্রধান ও তার স্ত্রী।
পিটিআই নেতা আজহার মাশওয়ানি অভিযোগ করেছেন, রেঞ্জার্সরা আদালতের ভেতর থেকে ইমরানকে ‘অপহরণ’ করেছে। এর প্রতিবাদে দলটি তাৎক্ষণিকভাবে দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. আকবর নাসির খান জানিয়েছেন, রাজধানীজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।