ঢাকাশনিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  1. #টপ৯
  2. #লিড
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আন্দোলন
  7. ইচ্ছেডানা
  8. উদ্যোক্তা
  9. ক‌রোনা মহামা‌রি
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. চাকুরীর খবর
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চাঁদা দিলে ভালো তথ্য, না দিলে পুঁজিবাজারে ছড়িয়ে পড়ত গুজব।

অনলাইন ডেস্ক
এপ্রিল ২৭, ২০২৪ ৭:৫২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

য়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে চাওয়া হতো চাঁদা। চাহিদা মতো টাকা পেলে দুর্বল কোম্পানির নামে ভালো তথ্য ছড়িয়ে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করা হতো। আর টাকা না পেলে ভালো কোম্পানির নামে ছড়ানো হতো গুজব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে এবং অনলাইন মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে বাজার কারসাজি করা একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে এসব তথ্য।

গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের (দক্ষিণ) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সাইফুর রহমান আজাদের নেতৃত্বে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ আজ শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—মো. আমির হোসাইন ওরফে নুরনুরানী (৩৭), নুরুল হক হারুন (৫২)  আব্দুল কাইয়ুম (৩৯)।

ডিবি জানায়,  আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। আমির হোসাইনেরর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দমন আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনেসহ বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে।

তারা দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজার ধ্বংসের উদ্দেশে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), কমিশনের চেয়্যারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গ্রুপ খুলে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগ কারীদের প্রতারিত করে আসছিল। এ ছাড়া সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ব্যবহার করে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিসস্থিতি তৈরি করে আসছিল।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, পুঁজিবাজার স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারী তাদের সর্বস্ব নিয়ে এসে বিনিয়োগ করেন। অল্পতেই এখানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক থাকে। একটি স্বার্থান্বেষী চক্র মিথ্যা তথ্যে বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করে আসছিল, এমন অভিযোগে বিএসইসি রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা তদন্তের ধারাবাহিকতায় ডিবি তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, মিথ্যা ও ভূয়া তথ্য ছড়ানোর জন্য ফেসবুক, হোয়াটস্যাপ, টেলিগ্রামে গোপনীয় গ্রুপ ব্যবহার করে আসামিরা। এসব গ্রুপে গুলোতে শেয়ারবাজার সংক্রান্ত মিথ্যা ও ভূয়া তথ্য প্রদান করে আসছিল। বিভিন্ন প্রকার মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আগে ভাগে প্রকাশ করে দেয়, যা বেশিরভাগ সময় বানোয়াট ও মিথ্যা। যার ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে চাওয়া হতো চাঁদা। চাহিদা মতো টাকা পেলে দুর্বল কোম্পানির নামে ভালো তথ্য ছড়িয়ে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করা হতো। আর টাকা না পেলে ভালো কোম্পানির নামে ছড়ানো হতো গুজব। এমনকি, কোম্পানির অফিস গুলোতেও হামলা করে।

তারা বিভিন্ন শেয়ার নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দাম বৃদ্ধি করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে। এসব করার জন্য গোপনীয় গ্রুপ ব্যবহার করে আসছিল। এসব গ্রুপের সদস্যদের একটি নিদিষ্ট ফি দিয়ে গ্রুপে যুক্ত হতে হয়। আবার শেয়ারে প্রফিট হলে লভ্যংশ দিতে হয়। কিন্তু, লোকসান হলে তারা দায়িত্ব নেয় না।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রে জড়িত অন্যদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমাদের নজরদারি অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।