মিগুয়েলিনা ফ্রেডস। দুই সন্তানের এই মা আর্জেন্টিনার একটি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা। তাকে নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে। কারণ, তিনি প্রাপ্ত বয়স্কদের আড্ডাখানা ‘অনলিফ্যান্স’-এ নিজের রগরগে সব ছবি পোস্ট করেছেন।
সম্প্রতি তার সেই রগরগে ছবির অ্যাকাউন্ট ফাঁস হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা, সমালোচনা। স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা দাবি তুলেছেন তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে।
কিন্তু চাকরি ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মিগুয়েলিনা ফ্রেডস। তিনি বলেছেন, হ্যাঁ আমি আমার সেক্সি ছবি তুলেছি। সেটা বিক্রি করবো না কি করবো, তা একান্তই আমার বিষয়। এটা নিয়ে অন্যদের মাথা ঘামানোর কিছু নেই।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আর্জেন্টিনার সান্তা ফি প্রদেশের ঘটনা এটি। সেখানকার সুপেরিয়র নরমাল স্কুল নং ৩০-এর শিক্ষিকা মিগুয়েলিনা ফ্রেডস। স্কুলটি অনেক পুরনো। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৮৮৬ সালে। প্রচলিত রীতিনীতি ও আদর্শের জন্য স্কুলটির সুনাম আছে।
এই স্কুলেই শিক্ষকতা করেন ২৮ বছর বয়সী মিগুয়েলিনা ফ্রেডস। তার আছে দুটি সন্তান। তিনি দেখতেও বেশ সুন্দরী। মার্চ মাস থেকে তিনি অসুস্থতাজনিত ছুটিতে রয়েছেন।
কিন্তু তিনি এ সময়ে বাড়তি কিছু অর্থ আয় করার জন্য এক্স-রেটেড বা রগরগে পদ্ধতি ব্যবহার করেন। নগ্নতায় ভরা ছবি তুলে তা শেয়ার করেন অনলিফ্যান্স-এ। কিছু ছবিতে তাকে কার্যত নগ্নই বলা যায়। সামান্য এক চিলতে কাপড় দিয়ে ঢেকেছেন ‘লজ্জা’।
তার এই কীর্তি ধরা পড়ে যায় অভিভাবকদের চোখে। তাদের একজন লুতারো রিওস। তিনি ক্ষুব্ধ। বলেছেন, ওই শিক্ষিকা ব্যক্তিগত জীবনে যা খুশি করুন। কিন্তু সেটা কেন তিনি প্রকাশ্যে আনবেন। শিক্ষার আদর্শের সঙ্গে এটা যায় না। তার এসব ছবি আমার আট বছর বয়সী মেয়ে দেখেছে।
তবে এর জবাব দিয়েছেন মিগুয়েলিনা ফ্রেডস। বলেছেন, ‘আমি সেক্সি ছবি তুলবো। এতে অন্য কারো কিছু যায় আসে না।’ অভিভাবকদের এমন ক্ষোভ সত্ত্বেও চাকরি ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মিগুয়েলিনা ফ্রেডস।