ঢাকাশুক্রবার , ২১ জুলাই ২০২৩
  1. #টপ৯
  2. #লিড
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আন্দোলন
  7. ইচ্ছেডানা
  8. উদ্যোক্তা
  9. ক‌রোনা মহামা‌রি
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. চাকুরীর খবর
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার না করায় বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব

অনলাইন ডেস্ক
জুলাই ২১, ২০২৩ ৮:৩০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঢাকাসহ সারাদেশে প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে। মশা নিধনে সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার না করায় এই রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াটোলার বাসিন্দা নূপুর আক্তার।
দিনের বেলাতেও ঘরের ভেতর মশারি টানিয়ে ও কয়েল জ্বালিয়ে শিশুকে মশার হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করেন তিনি।
জানালেন, অনেকদিন ধরেই মশা নিধন কর্মীদের দেখেননি।

নূপুর আক্তার বলেন, মশার উপদ্রব খুব বেশি। এর ফলে, আমরা দিনের বেলায়ও মশারি টানিয়ে রাখি।
এর পাশাপাশি দিনরাত সবসময় কয়েল জ্বালিয়ে রাখা হয়।
বাচ্চাদের নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়।
দুই একমাস পর পর সিটি করপোরেশন থেকে লোক এসে কিটনাশক দেয়।

একই বাসার দ্বিতীয় তলার গোলাম মোস্তফা বলেন, মশার উপদ্রব খুবই বেশি।
সন্ধ্যার পর ঘরে বসাই যায় না। রাতেও ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না।
প্রচুর মশা, কয়েল জ্বালালেও কাজ হয় না। ঈদের পর থেকে এখন পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের লোকদের দেখিনি।

পাশের বাসার শিক্ষার্থীরাও জানায় মশার উপদ্রবের কারণে তাদের পড়াশোনা করতে সমস্যা হয়।

৩৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিস লাগোয়া বাড়িতে দেখা যায়, মশা প্রজননের নোংরা পরিবেশ।
বিভিন্ন ওয়ার্ডের অনেক এলাকার চিত্র এমনই। পাশেই উত্তর সিটির ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিস।

ওয়ার্ড সচিব মো. সোলায়মান ভূইয়া জানান, সম্ভাব্য ক্ষেত্র ছাড়া বাসাবাড়িতে তেমন একটা যাওয়া সম্ভব না হলেও রাস্তায় মশা মারার ওষুধ দিয়ে থাকেন তারা।

তিনি বলেন, মেইন রোড ও বাইলেন যেগুলো রয়েছে এবং কারও বাড়িতে যদি গ্যারেজ থাকে, তাহলে গ্যারেজের ভেতরেও ফগার মেশিন দিয়ে মশা মারার ওষুধ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া কোথাও মশার লার্ভা পাওয়া গেলে সেখানেও ফগিং করা হয়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, মিয়ামিতে গিয়ে যেটা দেখেছি, তারা সকালে লার্ভিসাইট যেটা রয়েছে সেটার ওপর জোর দিচ্ছে।
আমরা সকালে যেই ক্যামিকেলটা দিই পেস্টিসাইড। ওরা সেখানে জৈব পেস্টিসািইড দেয়, যেটাকে বলা হয় বিটিআই।
সেটা আমরা নিয়ে আসছি। আশা করি, চলতি মাসের শেষ দিকে সেটি আমাদের কাছে চলে আসবে।
আধুনিক যন্ত্রপাতির জন্য আমি চলতি বছরে প্রায় ৩০ কোটি টাকা বাজেট রেখেছি।

অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দেখা যায়, মশা নিধনে লাইভে থেকে কর্মীদের পরামর্শ দিতে ও কাজ তদারকি করতে।
জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিহ্নিত এলাকার বাইরেও মশা নিধনে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।

সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, পরিবেশগত ও নানান কারণে মশা বাড়ছে।
সেটিকে বিবেচনায় রেখেই আমরা কাজ করছি।
আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ ছিটাচ্ছি।

কিন্তু এতসব ব্যবস্থাপনাও কাজে লাগছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশা মারতে যুগোপযোগী পদ্ধতি ব্যবহার না করা, অভিজ্ঞদের কাজে না লাগানো এবং সচেতনতার অভাবের কারণে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলেন, যদি ঠিকঠাক মতো নিয়ন্ত্রণ করা হতো তাহলে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এতোটা বাড়তো না।
ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানেজমেন্টের প্রিন্সিপাল ও প্র্যাকটিস অনুসারে কাজ করতে হবে।
সরকারের উচিত হবে জাতীয়ভাবে জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণা করা।
আমার ধারণা, যেভাবে ডেঙ্গু বাড়ছে তাতে করে ৪-৫ লাখ রোগী হয়ে যেতে পারে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।