ঢাকাবুধবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  1. #টপ৯
  2. #লিড
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আন্দোলন
  7. ইচ্ছেডানা
  8. উদ্যোক্তা
  9. ক‌রোনা মহামা‌রি
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. চাকুরীর খবর
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জুমার দিনে চমৎকার কিছু আমল

দেশইনফো২৪.কম
ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩ ৬:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ইসলামে জুমার দিনকে সপ্তাহের সেরা দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘দিবসসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো জুমার দিন এবং তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত।’ (ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)। আর তাই, এই দিনে বেশ কিছু চমৎকার আমলের কথা কুরআন-হাদিসে পাওয়া যায়, যথা: ১. আগেভাগে মাসজিদে গমন করা। মহান আল্লাহ বলেন- ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।’ (সুরা জুমুআ, আয়াত : ০৯)।

২. হাদিসে বর্ণিত সতেরোটি বিশেষ নির্দেশনা মেনে চলা: ক. গোসল করা, (বুখারী: ৮৭৭)। খ. মিসওয়াক করা, (ইবনে মাজাহ: ১০৯৮)। গ. উত্তম পোশাক পরিধান করা, (ইবনে মাজাহ: ১০৯৭)। ঘ. সুগন্ধি ব্যবহার করা, (বুখারী: ৮৮০)। ঙ. মসজিদে প্রবেশের পর অন্য মুসল্লিদের ফাঁক করে বা গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যাওয়া, (বুখারী : ৯১০)। চ. কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা, (বুখারী : ৯১১)। ছ. সালাতের জন্য কোনো একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা, যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যাবে সেখানেই সালাত আদায় করা, (আবু দাউদ : ৮৬২)। জ. নির্ধারিত নামাজ আদায় করা। এমনকি ফরজ সালাতের আগে ও পরে দুই/চার রাকাত করে নফল সালাত আদায় করা, (বুখারী: ৯৩০, আবু দাউদ: ১১৩০)।

ঝ. গায়ে তেল (লোশন) ব্যবহার করা, (বুখারী: ৮৮৩)। ঞ. পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন করা, (মুসলিম : ১৪০০)। ট. মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেয়াজ, রসুন না খাওয়া ও ধুমপান না করা, (বুখারী: ৮৫৩)। ঠ. ঘুমের ভাব বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে বসার জায়গা পরিবর্তন করে বসা, (আবু দাউদ: ১১১৯)। ড. ইমামের খুৎবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা, (আবু দাউদ: ১১১০, ইবনে মাজাহ: ১১৩৪)। ঢ. খুৎবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা, (আবু দাউদ: ১১০৮)। ণ. এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোনো কিছু না পড়া বা তেলাওয়াত না করা, যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘœ ঘটে, (আবু দাউদ : ১৩৩২)। উক্ত কাজগুলির যথাযথ পালনের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির জন্য এই জুমা ও তার পূর্ববর্তী জুমার মধ্যবর্তী যাবতীয় গুনাহের কাফফারা হয়ে যাবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৩)।

৩) দরুদ পড়া : জুমার দিন বেশি বেশি দরুদ পাঠ করার ব্যাপারে রাসুল (সা.)-এর নির্দেশনা রয়েছে। ‘তোমরা জুমার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো, কেননা তোমাদের পাঠকৃত দরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়। (আবু দাউদ: ১০৪৭)। এছাড়া, মহান রব স্বয়ং রাসুল (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠের তাগিদ দিয়েছেন। যেমন তিনি বলেছেন : আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি দরূদ পাঠান। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠাও। (সূরা আহযাব : আয়াত ৫৬)। ৪) সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করা : রাসুল (সা.) বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা আল কাহাফ পড়বে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমাহ্ হতে আগামী জুমাহ্ পর্যন্ত চমকাতে থাকবে।’ (সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী : ৫৯৯৬)। এই ব্যাপারে হাদিসে চমৎকার এক ঘটনা পাওয়া যায়। একদা এক লোক সূরা কাহাফ পাঠ করছিল । তার পাশেই দুটো রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল । ইতোমধ্যে লোকটিকে একটি মেঘে ঢেকে নিলো । মেঘটি লোকটির নিকটবর্তী হতে থাকলে ঘোড়াটি তা দেখে চমকাতে আরম্ভ করল । অতঃপর যখন সকাল হলো তখন লোকটি রাসূল (সা.)-এর দরবারে হাজির হয়ে উক্ত ঘটনা বর্ণনা করল। তা (শুনে) তিনি বললেন, ‘ওটি প্রশান্তি ছিল, যা তোমার কুরআন পড়ার দরুন অবতীর্ণ হয়েছে।’ (বুখারী: ৫০১১)। মহান রব আমাদের জুমার দিনের উপরোক্ত বিশেষ আমলসমূহ করার মাধ্যমে তাকওয়া ও দ্বীনের অনুসরণের তাওফিক দান করুক, আমীন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।