মসজিদে জুতা পড়া নিয়ে আমাদের দেশে একটি বিরোধ রয়েছে। জুতা পরিধান করে নামায পড়া কিংবা মসজিদে প্রবেশকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে কোন ভাবেই ভালো দেখেন না বা অনেক হুজুর ঈমাম সাহেবরা নাজায়েয বলেও বক্তব্য দিয়ে থাকেন।
কিন্তু, আমাদের দেশের বেশীরভাগ মানুষই জানেননা, আরব দেশগুলিতে কর্ত্যবরত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মসজিদে জুতা নিয়েই প্রবেশ করেন।
আরেকটি বিষয় আমাদের দেশের অনেকের কাছেই অজানা যে, মসজিদুল হারাম, মক্কায় সৌদি নারী পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন!
হজ্জের সময় দেখা যায়, ফাঁকে ফাঁকে কর্তব্যরত পুলিশ নিরাপদ দুরত্বে দাড়িয়ে আছেন।
বিশেষ করে, আরব আমিরাত, সৌদি আরবে এখন প্রচন্ড গরম। শুক্রবারে জুম্মার নামাজে মুসুল্লি অতিরিক্ত হয়। তখন বাইরে রাস্তায় মানুষ নামাজ পড়তে দাঁড়ান। কিন্তু প্রচন্ড গরমে নামাজের ম্যাট যথেষ্ট নয়। অনেকে গামছা ও তোয়ালে নিয়ে যান। হুজুর তখন মাইকে বলেন জুতা নিয়েই নামাজ পড়তে। কারন প্রচন্ড গরমে পায়ে ফুস্কা পড়ে। এসব রাষ্ট্রে প্রচন্ড গরমে জুম্মার সময় প্রায় মসজিদে ইমাম সাহেবরা জুতা পড়ে নামায পড়ার জন্য মুসল্লীদের সরাসরি নির্দেশ দিয়ে থাকেন।
কিন্তু বাংলাদেশের দৃশ্যপটে এইসব ব্যাপার কল্পনাই করতে পারা যায় না।
আরেকটা ব্যাপার ঘটে সেখানকার মসজিদ গুলোতে। বিশেষ করে শুক্রবারে জুম্মার নামাজে ছোট ছোট মেয়ে শিশু নিয়েও লোকাল আরবরা মসজিদে যান। বাংলাদেশে এই চিত্র কেউ কখনো দেখেছেন?
তাছাড়া পূর্নবয়স্ক মহিলাদের জন্য আছে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদের নামাজের স্থান।। মাঝখানে শুধু একটা দেয়াল থাকে। কিন্তু স্থাপনা একই। এই দৃশ্য আমাদের দেশে কল্পনার বাইরে। যেখানে কবরস্থান ও মসজিদের পাশে সাইনবোর্ডে লেখাই থাকে, “মহিলাদের এইপথে হাটাচলা করা নিষেধ”।
এইখানে শিক্ষণীয় বিষয় হলো, ধর্ম মানুষের জন্য। মানুষের শান্তি শৃঙখলা সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য। মানুষ কে কষ্ট দেয়ার জন্য নয়। মানুষ কে ধর্ম থেকে দূরে রাখার জন্য নয়। মানুষের মনে ভয় দেখিয়ে শাসিয়ে জঙ্গিবাদ চর্চা করার জন্য নয়। কিন্তু বাংলাদেশে বেশীরভাগ মসজিদের ঈমামরা, কমিটির সদস্যরা এ সম্পর্কিত ধর্মীয় ভাবাবেগকে কট্টর পর্যায়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন।
অতীতে এদেশে বাংলাদেশ পুলিশ দায়িত্ব পালন কালে মাঝে মধ্যে মসজিদের ভিতরে ঢুকলে পুলিশ সরকার প্রধান সবাইকে হেফাজত সহ মূর্খ অশিক্ষিত বর্বর নামেমাত্র মুসলমান কিছু রুহানি সন্তান নগ্ন গালিগালাজ করে থাকে… ! একটা দেশের সুন্দর পরিবেশের জন্য সকল ধর্মের ধর্মান্ধদের রুখতে হবে। কোরান হাদিস বা গীতা বাইবেল না পড়ে শুধু মনগড়া কথা ধর্ম নয়।