নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিযানকে কেন্দ্র করে মাদক ব্যবসায়িরা র্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় বিদেশি পিস্তল, মাদক উদ্ধারসহ গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জনকে। মামলার আসামী ও গ্রেফতারকৃতরা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী।
আজ বৃহস্পতিবার কায়েতপাড়া ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলুসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় ৩টি মামলা করা হয়।
৩ কেজি ৮৫০ গ্রাম গাঁজা, মাদক বিক্রির ২৮ হাজার ৪০০ টাকা, ১৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ম্যাগজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার, র্যাবের ওপর হামলা, আইনি কাজে বাধা, আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টা, গুলি, সরকারি গাড়ি ভাঙচুর, দাঙ্গায় লিপ্ত হবার অপরাধে র্যাব-১, সিপিসি-১ এর নায়েব সুবেদার তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩টি মামলা করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, চনপাড়া পুনর্বাসনকেন্দ্র এলাকার আওয়ামী লীগ নেত্রী পারভীন বেগম, রিপন মিয়া, রাজু আহাম্মেদ রাজা, আওয়ামী লীগ নেতা ও মাদকের ডন ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলুর ভাই হাসান, তপু মিয়া, জসিম বেপারী, বাবু, আমিন, রাসেল হোসেন, নাজমুল হোসেন রায়হান ও সুজন। এছাড়া পলাতক আসামিরা হলো একই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলু, শাওন, মোস্তফা, শিল্পী বেগম, মোবারক, ফাইজউদ্দিন, শাহআলম, সোহাগ মাঝি, মিঠু, সিরাজুল, সাদ্দাম, মুন্না, পিয়াস, ওমর, মহসিন, বিল্লাল, আরাফাত, সম্রাট, বিকাশ ও মাল্টা রনিসহ ৪০০ থেকে ৫০০ আসামি।
এজাহারের বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে র্যাব-১ এর সদস্যরা চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারসহ গ্রেফতারকৃত আসামিদের নিয়ে গাড়িতে উঠানোর সময় এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতপরিচয় পলাতক আসামিরা দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইটপাটকেল মেরে গ্রেফতারকৃত আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে রাস্তার পাশে টায়ারে আগুন ধরিয়ে অবরুদ্ধ করে আইনানুগ কাজে বাধা প্রদান করার লক্ষ্যে র্যাবকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালায়।
তিনি আরো জানান, এসময় ইটপাটকেলের আঘাতে র্যাব সদস্য নাঈম ইসলাম, খন্দকার কামরুজ্জামান ইমন আহত হয়। হামলাকারীরা র্যাবের সরকারী গাড়ি ভাংচুর করে। এসময় র্যাব সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে ৭৭ রাউন্ড গুলি ও কার্তুজ ফায়ার করেন। প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মিনিট গোলাগুলি হয়। খবর পেয়ে র্যাব-১১, র্যাব-১ এর পূর্বাচল ক্যাম্প ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে র্যাব সদস্যদের উদ্ধার করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
