ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২২ জুলাই ২০২১
  1. #টপ৯
  2. #লিড
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আন্দোলন
  7. ইচ্ছেডানা
  8. উদ্যোক্তা
  9. ক‌রোনা মহামা‌রি
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. চাকুরীর খবর
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শহীদ আব্দুর রব এবং সহযোদ্ধাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা।

দেশইন‌ফো ডেস্ক।
জুলাই ২২, ২০২১ ৬:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চাকসু এর প্রথম নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আবদুর রব ভাইয়ের কাছে আমরা বিনীতভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা হয়তো শেষ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের সরকারের কতিপয় উচ্চাভিলাষী, অর্থলোভী অপরাজনীতিকে হাত থেকে আপনার দেহাবশেষ কবরস্থানটি সুরক্ষা করতে ব্যর্থ হবো। আমরা প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্য দেশবাসীর সমন্বয়ে। আমরা ব্যর্থ হলে আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। আমরা ক্ষমা প্রার্থনা করি আরও অপরাপর মুক্তিযোদ্ধা শহীদদের কাছে, লাখো শহীদের আত্মার কাছে।

➡️আপনি চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের প্রধান সারির নেতা ছিলেন। ষাটের দশকের আন্দোলনে আপনি ছিলেন তুখোড়, অদম্য। ৬ দফা, ১১ দফা এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের অগ্রণী নেতা ছিলেন আপনি। আপনার অদম্য নেতৃত্ব ছাত্রসমাজের উজ্জল ভূমিকাকে আলোকিত করে রেখেছে ইতিহাসে। দেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন আপনি ছিলেন বিভোর।

➡️জীবনকে বাজি রেখে আপনার ঐতিহাসিকদের ভূমিকা ছিল ৬২ এর ছাত্র শিক্ষা অধিকার আন্দোলনে। সর্বশেষ চাকসু জিএস হয়ে দেশের জন্য জীবন দিয়ে আপনি যে উদাহরণ সৃষ্টি করে গেছেন, তা ইতিহাস কোনদিনও মুছে দেবে না।

➡️আওয়ামী লীগের নামে আমাদের ইতিহাসে কতিপয় শকুন কংস মামা ইতিহাসকে গ্রাস করার চেষ্টা করছে। তাদের কাছে বাষট্টি, ছেষট্টি, ঊনসত্তর এমনকি একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধও অরক্ষিত, অসহায়। মুক্তিযুদ্ধও আজ চরম আগ্রাসনের শিকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যাই এখন মুক্তিযুদ্ধের সুরক্ষার একমাত্র ভরসা।

➡️আপনার আগুনঝরা বক্তৃতা তখনকার প্রজন্ম শুনেছে। ৬ দফাকে জনপ্রিয় করতে আপনি অনন্য সাধারণ ভুমিকা রেখেছেন। ১৯৭১ সালে আপনি প্রতিরোধ যুদ্ধে বীরের মতো ভূমিকা রেখেছেন। যুদ্ধ করেছেন। পাকিস্তানি হানাদারদের ঠেকিয়েছেন। যুদ্ধ করে করে জীবন দিয়ে দেশমাতৃকার মুক্তির প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। আপনাকে দেশবাসী কোনদিন ভুলবে না।

➡️মুক্তিযুদ্ধে বর্তমান চুয়েটের অদুরে শুরুর দিকেই ১৯৭১ সালে আপনি শহীদ হন। এমন জীবনদান কতজনের সৌভাগ্য হয়েছে! চুয়েটের পাশে কবর দেয়া আপনার দেহাবশেষকে জনগন সম্মানের সাথে সুরক্ষা করেছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আপনার বেড়ে উঠা রেলওয়ে হাসপাতাল অঙ্গনে আপনাকে পুনর্বার সমাহিত করা হয়েছে- শ্রদ্ধায়, ভালবাসায়। আপনারই সহযোগী দুই মুক্তিযোদ্ধা ছাত্রলীগ কর্মী মুক্তিযোদ্ধা মরহুম রবিউল হোসেন কচি ও মোহাম্মদ ইউনুসসহ অন্যরা মিলে আপনার দেহাবশেষ রাঙ্গুনিয়া থেকে এনে রেলের হাসপাতাল কলোনী মসজিদের কবরস্থানে পুনরায় সমাহিত করে পরম শ্রদ্ধায়। আপনি, আপনার আত্মা আমাদের পবিত্র ঐতিহ্য। শ্রদ্ধা ভরা ইতিহাস এবং অনুপ্রেরণা। আপনার মত লাখো মুক্তিযোদ্ধার বিদেহী আত্মা হারিয়ে যেতে পারে না। জরাজীর্ন নাম ফলকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসেও আপনি সমুজ্জল। চেতনা হারিয়ে যায় না। চেতনার মৃত্যু হয়না। চেতনা ইতিহাসের সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে থাকে। মানুষকে আশা দেয়, আলো দেয়। ইতিহাসের আলোর পথে চলতে সহায়তা করে।

➡️আপনার সমাধি এখনো সমুজ্জল। এই অঞ্চলের, এই দেশের মানুষের অন্তরে ধারণ করা আছে। তা কোনদিনই মুছে ফেলা যাবে না।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই আপনার কবর ও মসজিদটি গুড়িয়ে, আপনিসহ আরো ৭জন শহীদের স্মৃতিফলক ভেঙ্গে, আপনার নামে দেয়া শহীদ আবদুর রব কলোনী ভেঙ্গে দিয়ে বড়লোকদের জন্য বিশাল হাসপাতাল তৈরী হবে বলে শোনা যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার।

➡️মানুষ এর বিরুদ্ধে জেগেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে সারা দুনিয়ার কাছে তুলে ধরার প্রচেষ্টায় সফল হয়েছেন। তাঁর অদম্য নেতৃত্ব আমাদের পথ দেখাচ্ছে। একশ্রেণীর লো ব্যবসায়ী অর্বাচীনদের বিভ্রান্তিকর উপস্থাপনায় তাঁকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে, মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি থেকে। তাঁকে ভিন্নপথে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে । আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি । তাঁর সুদৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

➡️আমাদের বিশ্বাস, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যথা সময়ে তা বুঝতে সক্ষম হবেন । এই বিভ্রান্তকারীদের, রাজনৈতিক ব্যবসায়ীদের শাস্তির ব্যবস্থা করবেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কবর, স্মৃতি নিয়ে ব্যবসার খেলা থেকে নিবৃত্ত করবেন তাদের। আমাদের বিশ্বাস স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরে এসে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্পোরেট ব্যবসায়ী, হাইব্রিড দেশপ্রেমিকদের অপকর্মকে বর্জন করবেন।আমরা আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থী ।

➡️চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনগণ জেগেছে। বিক্ষোভ আন্দোলন করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে। ফলাফল নিয়ে আমরা এখনও নিশ্চিত নই। বিভ্রান্তির রাজনীতি সারাদেশ কে ভিন্ন পথে পরিচালিত করার চেষ্টায় লিপ্ত আছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ইতিহাস-ঐতিহ্যের জন্য একটি ভয়ঙ্কর। উত্তরাধিকারের রাজনীতি বেপরোয়া রূপ ধারণ করেছ। আমরা আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থী। আমাদের প্রচেষ্টার শেষ নেই। উদ্যমের অভাব নেই। সবকিছু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের উদ্বেগ উৎকণ্ঠার শেষ নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ, চেতনার সরকার অবশ্যই বিভ্রান্তকারীদের শেষ পর্যন্ত চিনে নেবে। এই আশা নিয়ে আমরা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।