কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (১৫ই জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও অ্যান্টি র্যাগিং ভিজিল্যান্স কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসেন আজাদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রী পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।
অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, শনিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি এবং হাইকোর্টের যে প্রতিবেদন আমাদের কাছে প্রেরিত হয়, তা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে এমন সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুন।
তিনি বলেন, তারা আমার ওপর যে পরিমাণ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে তাতে তাদের এক বছরের শাস্তি যথাযথ নয়। এসময় তিনি শাস্তিপ্রাপ্তরা পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরলে তার ওপর প্রতিশোধ নিতে পারে এমন আশঙ্কা করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে রাতভর ফুলপরীকে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী ও পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল। এছাড়া হল প্রশাসন ও ছাত্রলীগ তাদের তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বহিষ্কার করেছিল।