ভাইয়ের খোঁজ নিতে আসা এক তরুণকে থানায় আটকে রেখে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে সেনবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় সিকদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহিম স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। পৃথক আরেকটি আদেশে ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মারধরের শিকার ওই তরুণের নাম আবদুল্লাহ আল-নোমান (২২)। তিনি সেনবাগ বাজারের একটি দোকানের কর্মচারী। আহত অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সার্জারি বিভাগে তার চিকিৎসা চলছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে বড়ভাই শাহাদাত হোসেনকে বাড়ির পাশ থেকে বিনা কারণে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় গিয়ে উপ-পরিদর্শক সঞ্জয় সিকদারের কাছে শাহাদাতকে আটকের কারণ জানতে চায় নোমান। এ সময় তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নোমানকে থানার একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে বেধড়ক পেটায় ওই উপ-পরিদর্শক। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে সাদা পোশাকের এক পুলিশ সদস্য নোমানকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার বুকে ও পিঠে জখম ছিল, সে শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-পরিদর্শক সঞ্জয় সিকদার বলেন, শাহাদাত হোসেনকে গাঁজাসহ আটক করা হয়েছে। তাকে থানায় আনার পর তার আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সামান্য ঝামেলা হয়েছে। নোমান নামে কাউকে তিনি চেনেন না। নোমানকে কারা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন, সেটিও তিনি জানেন না।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় থানার ওসি দায়িত্ব পালনে কোনো গাফিলতি ছিল কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।