ঢাকাশনিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  1. #টপ৯
  2. #লিড
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আন্দোলন
  7. ইচ্ছেডানা
  8. উদ্যোক্তা
  9. ক‌রোনা মহামা‌রি
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. চাকুরীর খবর
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হালিশহরে পরিবহন চাঁদাবাজি, নেপথ্যে এক সাংবাদিক ও তার ছোটভাই।

অনলাইন ডেস্ক
এপ্রিল ২৭, ২০২৪ ১:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে বাস, টেম্পো কিংবা সিএনজি টেক্সি চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে হালিশহর হাউজিং এস্টেটের একদল সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ। জোড়পূর্বক বাধ্য করা হতো প্রতিনিয়ত চাঁদা দিতে এবং কেউ না দিতে চাইলে প্রশাসনের মাধ্যমে গাড়ী চলাচল বন্ধ করে দিয়ে মামলা্য ফাঁসিয়ে দেবার হুমকী দিতো। সিগারেটের প্যাকেটে হাতে নম্বর লিখে বানানো টোকেনের মাধ্যমে এই সব চাঁদার টাকা আদায় করে আসছে এসব দুষ্কৃতি চাঁদাবাজরা। এভাবেই চাঁদা আদায় করা ৪ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছেন র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম। শনিবার (২২ এপ্রিল) নগরীর পাহাড়তলী থানার এ–ব্লক বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তার ওপর থেকে চাঁদা আদায়কালে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় কিছু চাঁদাবাজদের। গ্রেফতারকৃতরা হলেন হালিশহর থানার হালিশহর হাউজিং এস্টেট এলাকার মো. শফি (৫৮), পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী এলাকার মো. রাশেদ (৩২), একই এলাকার মো. আবুল কালাম আজাদ (৫৪) এবং সন্দ্বীপ উপজেলার পূর্ব হরিশপুর গ্রামের মো. শাকিল (২৮)।

র‌্যাব–৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার জানান, পাহাড়তলী এলাকায় চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদা আদায়ের বিষয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করে সংস্থাটি। এরপরই অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজির প্রমাণ পাওয়ায় শফিসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির ৪৪ হাজার ৪৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি বলেন, তারা পরস্পর যোগসাজসে ৪–৫ বছর ধরে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে সিএনজি টেক্সি, বাস, টেম্পো, মালবাহী ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহনের গতিরোধ করে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছিল। বিভিন্ন সময় র‌্যাবের একাধিক অভিযানের ফলে তারা কৌশল পরিবর্তন করে রশিদের পরিবর্তে সিগারেটের প্যাকেটে হাতে নম্বর লিখে টোকেন সরবরাহ করে থাকে।

গ্রেফতারের পরপর আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি ফাইজুল আলম সিরাজ সরজমিনে তথ্য সংগ্রহে গেলে জানতে পারেন এসব চাঁদাবাজরা চাঁদা আদায় সহজতর করতে ভয়ভীতি দেখানোর জন্যই মিথ্যাভাবে প্রশাসনের নাম ব্যবহার করতো চাঁদাবাজরা কিন্তু মূল নেপথ্যে হালিশহর এ-ব্লকের দুইজন ও বি-ব্লকের একজনের নাম উঠে আসে। তারা হলেন যুগান্তর চট্টগ্রাম শাখার সাংবাদিক এম এ কাউসার ও তার ভাই মামুন প্রকাশ চোরা মামুন এবং বি-ব্লকের তুহিন। মূলত: এ-ব্লক বাস স্ট্যান্ড এলাকায় কাউসার ও তার ছোট ভাই মামুনের বাসা হওয়ার কারণে হালিশহর বি-ব্লক টু দেওয়ানহাট ৩নং টেম্পু, বি-ব্লক টু আগ্রাবাদ ১০ নম্বর মেক্সি, ফইল্যারতলী টু নিউমার্কেট বড়তাকিয়া টেম্পু থেকে প্রতিদিন লক্ষ্যাধিক টাকার চাঁদা আদায়ের জন্য বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। এ-ব্লক থেকে কাউসার ও তার ভাই মামুন ও বি-ব্লক থেকে তুহিন চাঁদাবাজির রুটটি নিয়ন্ত্রন করে থাকে। জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিক হবার কারণে কাউসার তার সাংবাদিকতার প্রভাব খাটিয়ে তার ছোট ভাই মামুনের সহায়তায় প্রশাসন তাদের হাতে আছে এই মর্মে প্রতিদিন শত শত পরিবহন থেকে বিপুল পরিমান অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছে। গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সাথে কথা বলে এর সত্যতা পাওয়া যায়। নাম প্রকাশ না করা শর্তে গ্রেফতারকৃত পরিবারের লোকজন জানান গ্রেফতারকৃতরা নির্দোশ, তাদের মূলত দৈনিক মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে টাকা সংগ্রহের জন্য। গ্রেফতারকৃতদের কারা দৈনিক মজুরী দিতো জানতে চাইলে জানা যায়, বি-ব্লকের তুহিন ও এ-ব্লকের মামুন প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে দিতো। আদায়কৃত চাঁদা থেকে প্রতিদিন শুধুমাত্র বড়তাকিয়া টেম্পু রোড থেকে ৫০০০ টাকা সাংবাদিক কাউসারকে দিতে হয় বলে নাম প্রকাশ না করা শর্তে হালিশহর পরিবহন সেক্টরের সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি সূত্রে জানা যায়। জানা যায়, হালিশহর বড়তাকিয়া লাইনে অধিকাংশ চোরাই গাড়ী, যার কারনে কাউসার নিজের সাংবাদিকতার প্রভাব বিস্তার করে এসব চোরাই গাড়ী রোডে চলাচলের জন্য বড় অংকের অর্থ প্রতি মাসে আদায় করে থাকে। এছাড়া হালিশহরে অবস্থিত ব্যাটারী চালিত তিন চাকার অটো রিক্সার গেরেজগুলো থেকে মাসিক বড় অংকের টাকা কাউসারকে দিতে হয় যা কিনা সে বিভিন্ন মাধ্যম ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করার জন্য দিতে হয়। কিন্তু বাস্তবে প্রশাসন বা অন্য কোন মাধ্যমে সে কোন প্রকার টাকা না দিয়ে প্রশাসনের মিথ্যা নাম ভাঙ্গিয়ে পুরো টাকা কাউসার নিজে এবং তার সিন্ডিকেট সদস্যরা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে থাকে বলে জানা যায় হালিশহরের বিভিন্ন অটো রিক্সা গেরেজ সূত্রে। আর এ কাজে কাউসারের একান্ত সহযোগী তার ছোট ভাই মামুন।

উল্লেখ্য যে, কাউসারের প্রয়াত বাবা ছিলেন পুলিশের একজন হাবিলদার। তার বাবা চাকুরী কালীন সময়ে সিআইডি পুলিশের হাতে একবার ফেনসিডিল সহ আটক হয়ে ছিলেন এবং তিন মাস জেল খেটেছিলেন। মূলত: কাউসার ও তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করতো তাদের বাবা পুলিশে চাকুরি করার সুবাদে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।