ঢাকাশুক্রবার , ৫ এপ্রিল ২০২৪
  1. #টপ৯
  2. #লিড
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আন্দোলন
  7. ইচ্ছেডানা
  8. উদ্যোক্তা
  9. ক‌রোনা মহামা‌রি
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. চাকুরীর খবর
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভূমিদস্যু সাংবাদিক গংদের দাপটে নাজেহাল এক বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।

অনলাইন ডেস্ক
এপ্রিল ৫, ২০২৪ ১২:৫৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ছবি: যুগান্তরের সাংবাদিক এম.এ কাউসার (বায়ে) ও জামিলুর রহমান প্রকাশ গরু জামাল (সংগৃহিত)।


ফাইজুল আলম সিরাজঃ গত ৩১ মার্চ ‘দৈনিক যুগান্তরে’ প্রকাশিত ‘চসিক নারী কাউন্সিলরের দাপট ব্যক্তির প্লট মসজিদের নামে দখলের পাঁয়তারা’ শীর্ষক সংবাদটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবী করে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হুরে আরা বেগম বিউটি প্রতিবাদ জানালে উক্ত প্রতিবাদ লিপিটি দৈনিক যুগান্তরে ৩ এপ্রিল প্রকাশিত হয়। দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করে কাউন্সিলর মহোদয় একটি প্রতিবাদলিপি আমাদের দেশইনফো২৪.কমে পাঠান। যুগান্তরে ৩১শে মার্চ প্রকাশিত সংবাদটির পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের চট্টগ্রাম সংবাদ প্রতিনিধি ফাইজুল আলম সিরাজ সরজমিনে গেলে বেশ কিছু তথ্য বেরিয়ে আসে যা যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন তথ্যে প্রতিবেদক ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় এড়িয়ে যান।

সরজমিন তদন্তে জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত হয় মসজিদের জন্য প্রস্তাবিত বি-ব্লক নতুন সাইটের ৫ নং রোডে হাউজিংয়ের পরিত্যাক্ত একটি প্লটে এলাকার জনগন কর্তৃক একটি খাবারের হোটেল বন্ধ করে দেওয়াকে কেন্দ্র করে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ৫ নং রোডের লেইন ২-এর ৫ নম্বর পরিত্যাক্ত প্লটটি সামজ কল্যান পরিষদ হাউজিং কাছে মসজিদের জন্য আবেদন করে যার প্রক্রিয়া চলমান।

কিন্তু দীর্ঘ ‍দিন ধরে প্লটটি এলাকার জামিলুর রহমান প্রকাশ গরু জামাল, দৈনিক যুগান্তরের চট্টগ্রাম রিপোর্টার এম. এ কাউসার ও কাউসারের বড় ভাই মিজান পরিত্যাক্ত প্লটটি অবৈধভাবে দখল করে আসছে যাদের সবাই ভূমি দস্যু হিসেবে পরিচিত এবং তারা সবাই বিএনপি-জামায়াত রাজনীতির সাথে জড়িত। উক্ত পরিত্যাক্ত প্লটটিতে তারা আকতার নামে একজনকে কেয়ারটেকার হিসেবে নিযুক্ত করে। কেয়ারটেকার আকতার প্লটটিতে রমজান মাসের শুরু থেকে একটি খাবারের হোটেল খোলে যা প্রকাশ্যে দিনের বেলায় চলে এবং সন্ধ্যার পর সেখানে বসে জুয়া ও মাদকের আসর। এতে এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে অবৈধ দখলদার গরু জামাল ও মিজানকে দ্রুত হোটেলটি বন্ধ করার জন্য বলে।

কিন্তু দখলদার দুই ব্যক্তি সাংবাদিক কাউসারকে জানালে কাউসার এলাকাবাসীকে এই বলে হুমকী দেয় যে, যদি কেউ হোটেল বন্ধ করার চেষ্টা করে তাহলে সে সবার নামে পত্রিকায় নিউজ করবে এবং মামলা দিবে। এতে এলাকাবাসী আরও প্রতিবাদী হয়ে উঠে এবং গত ২৯/৩/২০২৪ ইং তারিখে এলাকাবাসী একজোট হয়ে হোটেলটি বন্ধ করে দেয়। এতে সাংবাদিক কাউসার সহ গরু জামাল ও মিজান ক্ষিপ্ত হয়ে প্রশাসনকে জানায়। থানা থেকে পুলিশ আসলে তারা মূল ঘটনা জানতে পারলে উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শন করতে অনুরোধ করে। কিন্তু প্রশাসনের তাৎক্ষনিক এমন সিদ্ধান্ত তিন ভূমি দস্যুর মনপূত না হলে সাংবাদিক কাউসার এলাকার মহিলা কাউন্সিলর হুরে আরা বেগম বিউটিকে ফোন করে হোটেলটি খোলা রাখার জন্য বলেন। কিন্তু কাউন্সিলর বিউটি বিষয়টি প্রশাসন ও হাউজিংয়ের এবং এ বিষয়ে তার নিজের কিছু করার এখতিয়ার নেই বলে প্রস্তাবটি নাকচ করে দেন। এতে সাংবাদিক কাউসার মহিলা কাউন্সিলরের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ৩১/৩/২০২৪ ইং তারিখে দৈনিক যুগান্তরে তাঁকে এবং তাঁর ছোট ভাই  স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রাশেদ হায়দারকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে।

মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের প্রতিবাদে এলাকাবাসী জামিলুর রহমান সহ তিন ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করে। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে জামিলুর রহমানের 0177****069 নম্বরটিতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সরজমিনে আরও দেখা যায় যে, জামিলুর রহমান বি-ব্লক মহিলা বাজার সংলগ্ন ৪ নং রোডের ৪৭ ও ৪৯ নং দুইটি প্লেই অবৈধ এবং নিজ দখলে রেখে বসবাস করে আসছেন দীর্ঘদিন। এলাকাবাসীর মতে জামিলুর রহমান প্রকাশ গরু জামাল হাউজিংয়ের দুটি প্লটই অবৈধভাবে দখল করে বসবাস করে আসছেন এবং এর একটিতে অবৈধভাবে কারওয়াশ গ্যারেজ বানিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন এবং সেখানে অবৈধ ওয়াশা ও বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে নিজের আবাসিক ও ব্যবসায়িক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। এলাকাবাসীর মতে একটি ওয়াশার সংযোগ নিতে হলে বৈধ আবাসিক অথবা বাণিজ্যিক ভবনের খতিয়ান প্রয়োজন হয় যা ছাড়া ওয়াশা, গ্যাস অথবা বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়া যায় না। কিন্তু গরু জামাল হাউজিংয়ের দুটি প্লট অবৈধভাবে দখল করা প্লটে কিভাবে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ওয়াশার সংযোগ নিয়েছেন। এদিকে জামিলুর রহমানের ছেলে বিএনপি নেতা তুহিন তার বাবার পক্ষ হয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ছবি: জামিলুর রহমানের ছেলে তুহিন (কেক মুখে)

নাম প্রকাশ না করা শর্তে জামিলুর রহমানের কয়েকজন প্রতিবেশী জানান, গরু জামাল এলাকায় ভূমি দস্যু হিসেবে পরিচিত, হাউজিংয়ের দালাল বলে পরিচিত আরেক ব্যক্তি মিজান সহ গরু জামাল বিশেষ করে হাউজিংয়ের অবরাদ্ধ ও পরিত্যাক্ত প্লটগুলো অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে আসছে। বিষয়টি জানতে …. নম্বরে মিজানের সাথে কথা বলেন আমাদের প্রতিনিধি। এলাকাবাসীর অভিযোগ তার ভাই এম.এ কাউসারের সাংবাদিক পেশাকে পুঁজি করে তিনি বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করে আসছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মিজান জানান, এধরণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট এবং স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রাশেদ হায়দার তার উপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এমন ধরণের মিথ্যা বানোয়াট কথাবার্তা বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। রাশেদ হায়দারের সাথে এমন কি শত্রুতা যে তিনি আপনার নামে মিথ্যা ও বিভ্রান্তি ছড়াবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। কাউন্সিলর হুরে আরা বেগম বিউটিকে নিয়ে আপনার ভাই যুগান্তর সাংবাদিক এম.এ কাউসারের সংবাদ পরিবেশন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি এবং এই ঘটনার সাথে কাউন্সিলর কিভাবে সম্পৃক্ত এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমি জানিনা’ এবং কাউন্সিলর ও তার ছোট ভাইকে নিয়ে পরিবেশিত সংবাদগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট কিনা এমন প্রশ্নের জবাবেও তিনি ’কিছু জানেন না’ বলে লাইনটি কেটে দেন। পরবর্তিতে একাধিকবার ফোন করলেও তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পওয়া যায়।

এদিকে, আমাদের প্রতিবেদক সাংবাদিক এম. এ কাউসারের 01711***369 নম্বরে কল দিয়ে পরিচয় দিলে তিনি ব্যাস্ত আছেন পরে কথা বলবেন বলে লাইনটি কেটে দেন। পরে হালিশহর ফইল্যারতলী বাজারে তার বাসায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করেল তাকে পাওয়া যায়নি। আশেপাশে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, কাউসারের সাংবাদিকতার বিষয়টি তারা আগে জানতেন না কারন তারা জানেন যে, কাউসার  একসময় চট্টগ্রামের বিভন্ন স্থানে মেলায় লটারির টিকেট বিক্রি করতেন এবং মেলায় বসা জুয়ার বোর্ডের টাকা কালেকশান করতেন বলে নাম প্রকাশ না শর্তে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি জানান। তারা আরও জানান যে, সেসময় কাউসারের বাবা পুলিশের হাবিলদার পদে বাংলাদেশ পুলিশে চাকুরি করার কারনে তিনি এসমস্ত অনৈতিক কাজ খুব সহজেই করতে পারতেন। তিনি কোন পত্রিকার সাংবাদিক তারা তা জানেননা বলে জানান কিছু স্থানীয় ব্যক্তি। সাংবাদিক কাউসার সম্পর্কে জানা যায় যে, জামায়াত ইসলামী রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হবার কারণে ২০০৮ ও ২০০৯ সালে হালিশহর এ-ব্লক লায়লা ভবন ২ নং লেইনে জামায়াত দ্বারা পরিচালিত একটি কোচিং সেন্টারের শেয়ার হোল্ডার ছিলেন। ১/১১ এর সময় কাউসার প্রশাসনের হাতে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য ধরা পরার ভয়ে টানা ৪ বছর পলাতক ছিলেন। কাউসারের ভাই মিজান সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি জানান, মিজান জায়গা-জমি, হাউজিংয়ের দালালী করে, তাদের অবৈধ দখলে অনেকগুলো প্লট এখনও বর্তমান।

বি-ব্লক স্থানীয় অনেক বাসিন্দাদের বক্তব্য থেকে জানা যায়, স্থানীয় নারী কাউন্সিলর হুরে আরা বিউটি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহেল দুজনই বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। একই সাথে তারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের রাজনীতিতে সক্রিয় নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হুরে আরা বিউটি একজন জনপ্রিয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ৷ এলাকার চিহ্নিত জামাত বিএনপির দোসর ভূমিদস্যু জামিলুর রহমান প্রকাশ গরু জামাল, সাংবাদিক এম এ কাউসার ও তার বড় ভাই  সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বানোয়াট ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। স্থানীয় বিএনপি’র একজন উপদেষ্টা অর্থের বিনিয়োগ করে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে স্থায়ী মসজিদ নির্মাণকে ব্যাহত করার চক্রান্ত চালানো হচ্ছে।

বিক্ষোভ মিছিলে সর্বোস্তরের জনগন কথিত যুগান্তর পত্রিকার সাংবাদিক এম এ কাউসার ও তার ভাই মিজান এবং জামিলুর রহমান সহ তিন ভূমি দস্যুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।