নাম আরিফুল ইসলাম আরিফ হলেও সবাই চিনতো ডাক্তার জাকির হোসেন নামে। অন্য এক চিকিৎসকের সনদ ও নাম ব্যবহার করে গত ৩ বছর ধরে বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার ৬টি ক্লিনিকে ডাক্তারি করে আসছেন ওই যুবক। সম্প্রতি এক নারী চিকিৎসকের সঙ্গে প্রেমের নামে প্রতারণা করলে বেরিয়ে আসে রহস্য। ভুয়া চিকিৎসকের ঘটনা প্রকাশ্যে এলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে পুরো এলাকায়।
এ ঘটনায় ভুয়া চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল ও ল্যাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ।
স্থানীয়রা জানান, ডাক্তার সেজে সম্প্রতি আরিফুল ইসলাম আরিফ এক নারী চিকিৎসকের সঙ্গে গড়ে তোলেন প্রেমের সম্পর্ক। পরে, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া নিয়ে তারা থাকতেন একটি বাসায়।
ভুক্তভোগী ওই নারী চিকিৎসক জানান, বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে খোঁজ খবর নেয়া শুরু করেন তিনি। পরে জানতে পারেন, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক জাকির হোসেনের বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা করে আসছিলেন আরিফ। ডাক্তার সেজে তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন আরিফ। স্থানীয় অগণিত সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন চিকিৎসার নামে। সবাইকে সতর্ক হবার আহ্বান জানান ওই চিকিৎসক।
তিনি আরও জানান, ডাক্তার পরিচয় দেয়া আরিফ ইউটিউব দেখে আলট্রাসনোগ্রাফি করতেন। এ সময় ৮ থেকে ১০টি রোগীর নরমাল ডেলিভারিও করিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। ভুয়া চিকিৎসকের খবরে নড়েচড়ে বসেছে দুই উপজেলার বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো। অভিযোগ আছে স্থানীয় সুইস হাসপাতালের থেকেই চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতেন আরিফ।
এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল জানান, তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেবার উদ্যোগ নেয়া হবে।