নাটোরে যুবদল কর্মী শাওন (৩৫) এর ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে নাটোর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বাবু।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে নাটোর শহরের বঙ্গজল এলাকার এনডিটিএ মসজিদের সামনে ওই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
আহত জহুরুল ইসলাম বাবু শহরের উত্তর চৌকিরপাড় মাস্টার পাড়া এলাকার আব্দুল বারির ছেলে। অভিযুক্ত শাওন একই এলাকার স্বপন সরকারের ছেলে এবং নাটোর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জেলা যুবদলের নেতা সাজ্জাদুল ইসলাম সোহাগের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত।
নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসতিয়াক আহমেদ ডলার বলেন, বর্তমানে সংগঠনের পৌর কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার দুপুরে জহুরুল ইসলাম বাবু শহরের বঙ্গজল এলাকার এনডিটিএ মসজিদে জুমার নামাজ পড়ে বের হন। এ সময় যুবদল কর্মী শাওন ওই এলাকায় অবস্থান করছিলেন। বাবু মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে পেছন দিক থেকে শাওন তাকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় শাওন চিৎকার দিলে লোকজন ছুটে আসায় শাওন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী আহত বাবুকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগত পূর্ব শত্রুতার তার জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এলাকায় শাওন ও বাবুর মধ্যে এর আগেও মারপিটের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
জেলা যুবদল সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম জানান, বিএনপি করার অপরাধে সপ্তাহ খানেক পূর্বেও জেলা যুবদলের সহ সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শাওন দাসকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাবু ও সুমন গ্রুপ একাধিকবার বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। এ সময় শাওনকে বাঁচাতে এসে তার বৃদ্ধ মাকেই লাঞ্ছিত করা হয়। পৌর নির্বাচনের সময় এরা শাওনের বাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাট করে। ৭ দিন আগেই সুমন বাবুরাও তাকে মারপিট করে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিল। মূলত দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এবং রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরেই এ ঘটনা ঘটে।
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নাছিম আহমেদ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। মামলা হলে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।
