ঢাকামঙ্গলবার , ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  1. #টপ৯
  2. #লিড
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আন্দোলন
  7. ইচ্ছেডানা
  8. উদ্যোক্তা
  9. ক‌রোনা মহামা‌রি
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. চাকুরীর খবর
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে বিআরটিএ পরিদর্শকের মরদেহ উদ্ধার

দেশইনফো২৪.কম
সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

চুয়াডাঙ্গায় জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর তালাবদ্ধ একটি কক্ষ থেকে সাইফুল্লাহ বাহার (৪১) নামে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) এক পরিদর্শকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডাকবাংলোর দোতলা ভবনের নিচতলায় কপোতাক্ষ নামের একটি কক্ষের দরজা ভেঙে ওই কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত বিআরটিএ কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ বাহার মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার পূর্ব ভাকম গ্রামের মো. মোক্তার হোসেনের ছেলে। দুই মাস আগে তিনি পরিদর্শক হিসেবে চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএতে বদলি হয়ে আসেন। চুয়াডাঙ্গায় আসার পর থেকেই ডাকবাংলোর ওই কক্ষে একাই থাকতেন তিনি।

ডাকবাংলোর তত্ত্বাবধায়ক (কেয়ারটেকার) ছমির উদ্দিন জানান, গতকাল (রোববার) সকালে সাইফুল্লাহ বাহারের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল। তখন তিনি তাকে বলেছিলেন, ‘শরীরটা ভালো যাচ্ছে না।’ আজ সকাল ৯টার দিকে বিআরটিএ অফিসের কর্মচারী আখতার হোসেন এসে সাইফুল্লাহর কক্ষের দরজায় ডাকাডাকি করেন। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরও ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

জেলা বিআরটিএ-র সহকারী পরিচালক আইনুল হুদা চৌধুরী বলেন, জ্বরের কথা বলে সাইফুল্লাহ বাহার রোববার সকাল ১০টায় ছুটি নিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে পড়েন। আজ সকালে অফিসে না আসায় ১০টার পর সাইফুল্লাহর মোবাইল নম্বরে কল করা হয়। তবে মুঠোফোনে না পেয়ে সিলড মেকানিক জাকির হোসেনকে ডাকবাংলোতে খোঁজ নিতে পাঠানো হয়। পরে তিনি নিজে সেখানে যান। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সাইফুল্লাহকে খাটের ওপর উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা সাজিদ হাসান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিআরটিএ কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ বাহারকে মৃত ঘোষণা করেন।

চিকিৎসক সাজিদ হাসান বলেন, সাইফুল্লাহ বাহারের নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত ও লালাজাতীয় পদার্থ বের হতে দেখা গেছে। সাধারণত বিষক্রিয়া অথবা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হলে এ ধরনের রক্ত-লালা দেখা যায়। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা যাবে না।

সাইফুল্লাহ বাহারের বড় ভাই মোতাহের হোসেন বাহার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘আশা’র কর্মকর্তা। ছোট ভাইকে মুঠোফোনে না পেয়ে বিআরটিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনিও ঘটনাস্থলে এসে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, বিআরটিএ কর্মকর্তা ও চিকিৎসকের উপস্থিতিতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ওই কর্মকর্তার মরদেহ ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান ও পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।