ঢাকাশনিবার , ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  1. #টপ৯
  2. #লিড
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আন্দোলন
  7. ইচ্ছেডানা
  8. উদ্যোক্তা
  9. ক‌রোনা মহামা‌রি
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. চাকুরীর খবর
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তিস্তার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে পা‌নি বাড়‌তে শুরু ক‌রে‌ছে, বন্যা ও ভাঙ্গ‌নের আশংকা।

‌দেশইন‌ফো ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ ৩:৩৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

তিস্তার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে পানি আরো বাড়তে শুরু করেছে। এতে নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম হয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুর পর্যন্ত নদীতীরবর্তী এলাকার চর ও নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, গতকাল সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর পানি বিপত্সীমার ১৫ সেন্টিমিটার এবং সকাল ৯টায় ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বিকাল ৩টায় ২৫ সেন্টিমিটার নিচে নামে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, এলাকার বসতঘর-রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। হাঁটু ও কোমর সমান পানিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে উঁচু স্থানে। রাস্তাঘাটের পাশাপাশি তলিয়ে যায় আমনের ক্ষেত। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। গবাদি পশু নিয়ে মানুষ বিপাকে পড়েছে।

রংপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, উজানে পানি বাড়লে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কা আছে। বাড়তে পারে নদীভাঙনের তীব্রতাও।

কুড়িগ্রামে উলিপুরের বজরা ইউনিয়নে পশ্চিম বজরা গ্রামে তিস্তার ভাঙন অব্যাহত আছে। তবে নতুন করে কোনো স্থাপনা না ভাঙলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। গতকাল পশ্চিম বজরা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙনের আশঙ্কায় লোকজন ঘরবাড়ির মালপত্র সরিয়ে নিচ্ছে। পশ্চিম বজরার পূর্বপাড়া দাখিল মাদরাসার সুপার ও বজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রাফাকাত হোসেন জানান, ভাঙনের কবল থেকে বাঁচতে মাদরাসাটির অবকাঠামো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্ণা, পাটিকাপাড়া, সানিয়াজান ও ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জের কাকিনা এবং আদিতমারীর মহিষখোচা ইউনিয়নের নিচু এলাকার কিছু বসতবাড়িতে বৃহস্পতিবার থেকেই পানি উঠতে থাকে। মহিষখোচার কয়েকটি রাস্তায় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠে যায়।

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, খগাখড়িবাড়ী, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পাঁচ সহস্রাধিক পরিবার বন্যাকবলিত হয়। গতকাল বেশির ভাগ এলাকা থেকে পানি নেমে যায়।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।