যানজটমুক্ত রাখতে রাজধানীর পল্টন ও গুলিস্তানের বেশকিছু এলাকাকে হকারদের জন্য রেড জোন হিসাবে ঘোষণা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। উচ্ছেদের একদিন পরই আবারও হকারদের দখলে গুলিস্তানের ফুটপাত-সড়ক। চলছে রমরমা ব্যবসা। তবে নজরদারি দেখা যায়নি পুলিশ কিংবা সিটি করপোরেশনের। মঙ্গলবার আবারও উচ্ছেদ অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। অন্যদিকে, পুনর্বাসনের পরই উচ্ছেদ করার দাবি হকারদের।
২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে গুলিস্তানে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গিয়ে হকারদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় ঢাকা দক্ষিণ সিটির। ওই সময় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। সেবার হকার উচ্ছেদে সফলতা আসেনি সিটি করপোেরশনের।
পদ্মা সেতু চালুর পর গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় যানজট নিরসনে এবার গুলিস্তানকে রেডজোন ঘোষণা করে হকার উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। রোববার প্রায় এক হাজার হকার উচ্ছেদ করেছে দক্ষিণ সিটি।
তবে ওই উচ্ছেদ অভিযান স্থায়ী হয়েছে মাত্র কয়েক ঘণ্টা। উচ্ছেদের পরদিনই আবারও দোকান খুলে বসেছে বেশিরভাগ হকার। চলছে জমজমাট বেঁচা-বিক্রি। দেখে বোঝার উপায় নেই তাদের উচ্ছেদ করেছিলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, গুলিস্তান মোড়ে বেশি হকার না থাকলেও হকি স্টেডিয়ামের সামনে থেকে পাতাল মার্কেট, ঢাকা ট্রেড সেন্টারসহ প্রায় সব ফুটপাত আবার হকারদের দখলে। এমনকি রাস্তা দখল করেও চলছে হকারদের বেচাকেনা। ফুটপাতে পলিথিন দিয়ে ছাউনি বানিয়ে কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। নেই পুলিশ কিংবা সিটি করপোরেশনের নজরদারি।
উচ্ছেদের শিকার হকাররা বলছেন, তাদের অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, এ খানেই দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করছেন। এই জায়গা ছাড়া আর কোন যাওয়ার জায়গা নাই তাদের। বলেছেন, যতবার প্রশাস উঠাবে, ততবারই তারা আসবেন এবং ব্যবসা করবেন। পূর্নবাসন করে উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন তারা।
তবে সিটি করপোরেশন বলছে, কোন অবস্থাতেই হকার বসতে দেয়া হবে না। মঙ্গলবার আবারো উচ্ছেদ অভিযানে নামবে জানিয়ে দক্ষিণ সিটির সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মুনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমরাও লক্ষ করেছি। হকাররা যতবার ফুটপাত দখল করবে, আমরা ততবার অভিযান চালাব। মেয়রের কঠোর নির্দেশ আছে, কোনোভাবেই আর ফুটপাত-রাস্তা দখল হতে দেয়া যাবে না।