অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, নিরাপত্তা কর্মী, নৈশপ্রহরী ও আয়াপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কশব উচ্চবিদ্যালয়। গত ২৬ আগস্ট ওইসব পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাঁচ পদে ৮৭ লাখ টাকা নিয়োগ বাণিজ্য করে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুস সালাম দাবি করেন, আয়া পদে আমার ভাইপোর স্ত্রী হোসনে আরাকে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি ১০ লাখ টাকা চুক্তি করেন। তাদের হাতে সাত লাখ টাকা তুলে দেয়া হয়। কিন্ত ১৩ লাখ টাকার বিনিময়ে ওই পদে আসমা খাতুন নামে অন্য একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি ১৭ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন বলে দাবি করেন। তবে ওই পদে ২৭ লাখ টাকা দেয়া আরেকজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
মানববন্ধনে জাহাঙ্গীর বলেন, আমাকে চাকরি দেয়ার চুক্তিতে প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে জমি কিনে দিয়েছি। সেই জমিতে তিনতলা ভবন নির্মাণ হয়েছে। জমি কেনাসহ কয়েক দফায় আমার কাছ থেকে ১৭ লাখ টাকা নেন প্রধান শিক্ষক মোবারক আলী সরদার। কিন্তু আমাকে ওই পদে নিয়োগ না দিয়ে ২৭ লাখ টাকার বিনিময়ে কামরুজ্জামান তোতাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
তিনি এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি করেন।
তবে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবারক আলী সরদার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিধিগত প্রক্রিয়ায় নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করা হয়েছে। এখানে কোনো বাণিজ্য হয়নি। নিয়োগ বঞ্চিতরা এলাকার লোকজনদের নিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে।
অন্যদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের সভাপতি ফজলুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।