সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর ২৫ ধারা অনুযায়ী রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ অংশে বলা আছে,
সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে অথবা
অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না অথবা বাংলাদেশ বা বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বা কোনো প্রকারের সহায়তা করতে পারবেন না।
কিন্তু, সেই সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ভঙ্গ করে সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের অফিস সহকারী এরাদুল হক ভুট্টোকে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওই ইউনিটের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে।
বন্দরনগরী কাজির দেউড়ি এলাকার একটি কনভেনশন হলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক করা হয় নাসির উদ্দিন রিয়াজকে। জানা যায়, পুরো সম্মেলনের পুরো আয়োজক ছিলেন এরাদুল হক ভুট্টো নিজেই।
২০ বছর পর অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
এরাদুল হক ভুট্টো আজকের সম্মেলনে সভাপতি পদ পাওয়া ছাড়াও পাশাপাশি তিনি মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলে জানা যায়।
স্থানীয় রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টদের মতে, সরকারী ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী এরাদুল হক ইচ্ছে হলে ট্রেড ইউনিয়ন করতে পারেন,
কিন্তু কোন ভাবেই কোন রাজনৈতিক দল বা তার অংঙ্গ সংগঠন করতে পারেন না বা কোন ধরনের সাংগঠনিক পোষ্ট পাওয়ার এখতিয়ার রাখেন না। এ অবস্থায় তিনি সাংবিধানিক বহির্ভূত কাজ করেছেন।