বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধর্ষণ করার পরে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছেন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার এক যুবতী।
জানা যায়, মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড চরআলাউদ্দিন
গ্রামের হাসান আলীগো বাড়ীর বিবি কুলসুমের মেয়ে কলির সাথে একই গ্রামের বজলুল হক হুজুর বাড়ীর মাঈন উদ্দিনের
ছেলে এমরান হোসেন সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়।
সম্পর্ক গভীর হলে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে কলিকে দীর্ঘদিন ধর্ষন করে।
এক পর্যায়ে কলি এমরান’কে বিয়ের কথা বললে এমরান তালবাহানা শুরু করে।
বিষয়টি এমরানের পরিবার জানতে পারলে তারা কলির উপর ক্ষুদ্ধ হয়।
কলি কেন এমরানের সাথে সম্পর্ক করেছে এ অজুহাতে এমরানের পিতা মাঈন উদ্দিন কলিকে গাছের সাথে বেধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মমভাবে মারধর করে এবং
এমরানের সাথে কলির সম্পর্ককে অস্বীকার করে।
নির্যাতিতা কলি কারো কেন সাহায্য না পেয়ে গত কিছু দিন আগে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার বরাবর এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।
পুলিশ সুপার সুবর্ণচর চরজব্বর থানার ওসি কে এ বিষয়ে দেখা দায়িত্ব দেন।
ওসি অভিযোগের তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেন একই থানার এসআই সফিককে। দায়িত্ব পেয়ে এসআই সফিক অভিযুক্ত এমরান হোসেনকে চরজব্বর থানায় পুলিশ হেফাজতে আটক করে নিয়ে আসেন।
পরে মুচলেখা দিয়ে এমরান হোসেনকে কলির সাথে বিয়ে দিবে বলে ছেলের নানা বজলুল হক হুজুর ও মোহাম্মদপুর ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার আমিন এর জিম্মায় চরজব্বর থানায় থেকে নিয়ে আসে।
কিন্তু এলাকায় এসে এমরান কলিকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। রাগে অভিমানে কলি বিষপান করে আত্বহত্যা করে।
বর্তমানে কলির লাশ পোস্ট মডেমের জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে আছে। পোস্টমাডেমের পর এমরানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হবে প্রশাসন সূত্রে জানা যায়।